মাথাভাঙ্গা মনিটর: ইউরোপের লিগগুলোর মধ্যে গত মরসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন মেসি। ট্রফি ক্যাবিনেটে সাজিয়ে রাখার জন্য এবার হাতে পেলেন এটি। ক্যারিয়ারের তৃতীয় গোল্ডেন বুটটি হাতে পেয়ে মেসি বরাবরে মতোই কৃতিত্বটা ভাগ করে নিলেন সবার সাথে। এটা খুবই চমৎকার দলীয় পুরস্কার, কারণ আমি নিজের চেষ্টায় এটা জিততে পারতাম না। অন্যান্য ব্যাক্তিগত ট্রফির মতো এবারের গোল্ডেন বুটটাও অন্যদের জন্য উৎসর্গ করলেন বার্সেলোনা তারকা।
এটা আমার পরিবারের জন্য, যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের জন্য এবং আমার দলের জন্য। ২০১২-১৩ মরসুমে লা লিগায় ৪৬টি গোল করেন মেসি। গত বুধবার বার্সেলোনায় এক অনুষ্ঠানে মেসির হাতে পুরস্কার তুলে দেন বুলগেরিয়ার সাবেক তারকা রিস্ত্রো স্ত্রোইচকোভ। মেসির দ্রুত যাতে চোট থেকে সেরে ওঠে, সে কামনাও করেন তিনি। আর্জেন্টিনা তারকা জানান, তিনি এখন অনেক ভালো অনুভব করছেন। উন্নতি হচ্ছে ধীরে কোনো ব্যথা ছাড়াই। এখনই কিছু হালকা অনুশীলন করতে পারছেন তিনি। তবে মাঠে ফিরে আসা নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চান না চারবারের বিশ্বসেরা ফুটবলার, আমি ফিরে আসার কোনো তারিখ ঠিক করছে না। এটা নির্ভর করছে অন্য সবকিছুর ওপর। সময় হলেই আমি ফিরে আসবো। সে পর্যন্ত বার্সেলোনা যে তাকে ছাড়াই চমৎকার চালিয়ে নেবে, তাতে কোনো সন্দেহই নেই তার। সাথে ২০১৩ সালের গোল্ডেন বল তার জেতা বা না জেতা নিয়ে বিতর্কের ইতি টানতে বললেন, এটা (গোল্ডেন বল জেতা) আমার লক্ষ্য নয়, কখনও ছিলোও না। আমার লক্ষ্য হচ্ছে, ফিট হয়ে খেলায় ফিরে আসা।
১০ নভেম্বর লা লিগায় রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ম্যাচে চোটের কারণে প্রথমার্ধের ১৯ মিনিটে মাঠ থেকে উঠে আসেন মেসি। পরদিন বার্সেলোনার চিকিৎসকেরা জানান, মেসির বাম উরুর একটি পেশি (হ্যামস্ট্রিং) ছিড়ে গেছে। আবার মাঠে ফিরতে চারবারের বিশ্ব সেরা ফুটবলারকে ছয় থেকে আট সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে।