স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি চেয়ারপারসন বিরোধীদলীয় নেতার বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ঘিরে গতরাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশি টহল শুরু হয়। এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। বিএনপির তিন শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতারের পর দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আওয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী সামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আটক বিএনপির শীর্ষ তিন নেতাকে আজ শনিবার আদালতে পাঠানো হবে। হরতালে সহিংসতা, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বিস্ফোরক ও হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে খুন হত্যার অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে বিএনপির মুখপাত্র রহুল কবির রিজভি বলেছেন, ক্ষমতা হারানোর আগে শেষ কামড় দিচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, আজ শনিবার তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে। তবে কোন মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হবে এ ব্যাপারে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। পুলিশের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, সাম্প্রতিক হরতালে সহিংসতা, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বিস্ফোরক ও হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হতে পারে। শুক্রবার রাত ১টার দিকে তাদের দুজনকে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসার সামনে থেকে আটক করা হয় বলে ওই বাসার নিরপত্তাকর্মী সালেহ আকরাম জানান। তিনি বলেন, উনারা ম্যাডামের সাথে কথা বলতে এসেছিলেন। বের হওয়ার পর পুলিশ একটা সাদা গাড়িতে করে তাদের নিয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি।