বাজার গোপালপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের সদর উপজেলার উত্তর-পশ্চিম আঞ্চলে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। গত জুলাই মাসে তিন আগস্টে চার অক্টোবর মাসে একজন প্রতিনিধিসহ তিনজনের হত্যার ঘটনায় এ আঞ্চলের সাধারণ জনগণ চরম আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এছাড়া চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ, নিরবে চাঁদা আদায়ের ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই বড়বাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামকে (৩৫) তারই বাড়ির নিকটে গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৭ জুলাই টু মার্ডারের ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা হাজিডাঙ্গা গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন (২৮) ও আশাদুল আসলামকে (৩৫) শংপুর গ্রামের বেলে মাঠে শ্বাসরোধ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে। ২ আগস্ট সন্ত্রাসীরা রুদ্রপুর গ্রামের বিলকিছ নাহারকে (৩৫) নিজ ঘরের বারান্দায় জবাই করে হত্যা করে। এছাড়া ৫ আগস্ট কাশিমপুর গ্রামের লিটনকে (৩৫) সূতি-দুর্গাপুর মাঠে ও ২১ আগস্ট হরিপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনকে (৩৫) চাঁন্দেরপোল নুড়কিতলা মাঠে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা ফেলে রেখে যায়। ২৯ আগস্ট আলামপুর গ্রামের মনজের আলী মোল্লাকে (৭০) বাড়ির নিকট জবাই করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। গত ১৪ অক্টোবর দিবালোকে মধুহাটি গ্রামের কবিরুল ইসলামকে (২৫) ধারালো আস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে হত্যা করে। ১৫ অক্টোবর সাগান্না বওড়ের বিহারির ঘাট থেকে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অজ্ঞাত ৪০/৪৫ বছর বয়সী ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সর্বশেষ গত ২৮ অক্টোবর হরিণাকুণ্ডু উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনকে (৫৭) প্রকাশ্যে বোমা মেরে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। একের পর এক এ সকল হত্যাকাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ শান্তিপ্রিয় জনগণ। তবে আইনশৃঙ্খলার উন্নতির জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজর দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে এলাকাবাসী।