আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: অসুস্থ ও রোগাক্রান্ত মোষের মাংস বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া বাজারে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ অসুস্থ রোগাক্রান্ত ও মাংস খাওয়ার অনুপযোগী বলে দাবি করে আটক করলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ওই মাংস ও তার অংশের আলামত দেখে মাংস বিক্রির বৈধতা দিয়েছে। এ মাংস বিক্রি করা নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার উথলী ইউনিয়নে দেহাটি গ্রামের কসাই কলম শাহার ছেলে কসাই বগা শাহা এলাকায় মাইকিং করে পাহাড়িয়া মোষের মাংস বিক্রি করার প্রচার চালিয়ে একটি মোষ জবাই করে। সকালে জবাইখানায় গায়ে ঘা, ও রোগাক্রান্ত মোষ জবাই করে চামড়া ছাড়াতে থাকে। স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে বাজার কমিটির সদস্য খাঁন তারিক মহামুদ ও মুন্সী রোকনুজ্জামান মাংস জব্দ করে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় সুযোগ বুঝে কসাই বগা আত্মগোপন করে। উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা সাজেদুর রহমানের নির্দেশে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, পুলিশ, সাংবাদিক, ইউপি চেয়ারম্যান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিগণের উপস্থিতিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন মাংস ও তার অন্যান্য অংশের আলামত দেখে মাংস খাওয়ার উপযোগী বলে তা বিক্রি করার বৈধতা দেন। জবাইকৃত মোষটি আসলেই কি রোগাক্রান্ত? এ প্রশ্ন উঠলে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, মাংস পরীক্ষাগারে পাঠানোর পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। জনমনে প্রশ্ন তবে কেন এ বৈধতা দেয়া?