স্টাফ রিপোর্টার: কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের এক কর্মী খুন হয়েছেন। তার নাম ইসরাফিল (৬০)। এ ঘটনায় দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে রেল বিভাগের ছয় নিরাপত্তাকর্মী ও পুলিশের চার সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। খবর পেয়ে গতকাল শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেলমন্ত্রী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে, রেলমন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ জানান, কাউন্টারে টিকিট বিক্রির (বুকিং টিকিট ক্লার্ক) কাজ করতেন ইসরাফিল। তিনি রাত্রিকালীন দায়িত্বে ছিলেন। গতরাতের কোনো একসময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। দু হাত-পা বেঁধে গলায় রশি পেচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক আলামতে মনে হচ্ছে। মো. আবদুল মজিদ আরও বলেন, ইসরাফিলকে হত্যা করে রেলের টিকিট বিক্রির টাকা লুট করার কথা দাবি করেছেন সহকর্মীরা। কিন্তু তাকে যে কক্ষে খুন করা হয়েছে, তার পাশের একটি কক্ষের লকারে টিকিট বিক্রির ২০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তাই পুলিশ মনে করছে, টাকা লুটের জন্য এ হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। রেলস্টেশনের কর্মীদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটতে পারে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।