গাংনীর কৃষক আবু বক্কর খুন : পরিবারের পক্ষে মামলা দায়ের: অভিযোগের তীর ছিনতাইকারীদের দিকে

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর কোদাইলকাটি গ্রামের কৃষক আবু বক্কর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার গাংনী থানায় হত্যামামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য নিয়ে কোনো শক্ত প্রমাণ না থাকলেও পুলিশ ও এলাকাবাসীর সন্দেহের তীর ছিনতাইকারীদের দিকে।

গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোর রাতে আবু বক্করের লাশ গাংনী থানায় আনা হয়। পরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালমর্গে লাশের ময়নাতদন্তশেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গ্রামেই দাফন সম্পন্ন হয় আবু বক্করের। গতকালই নিহতের স্ত্রী আরজিনা খাতুন বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকারী হিসেবে কাউকে সন্দেহের তালিকায় না রাখায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। মামলার আরজিতে বলা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে খলিশাকুণ্ডি বাজার থেকে মিষ্টি ও মাছ কিনে বাড়ি ফিরছিলেন আবু বক্কর। মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে বাড়ি পৌঁছানোর আগে তিনি নিঁখোজ হন। খেয়াঘাটের মাঝি তাকে সন্ধ্যার পরে পার করেছেন। পরে রাত একটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, রাজাপুর-খলিশাকুণ্ডি যাওয়ার পথে প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় একটি চক্র দীর্ঘদিন থেকেই ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। যেহেতু আবু বক্কর মরিচ বিক্রির টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাই তিনি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে থাকতে পারেন। তবে তাদের চেনার কারণে তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম জানিয়েছেন, সন্দেহের তীর ছিনতাইকারীদের দিকে হলেও অন্য কোনো কারণে তিনি খুন হয়েছেন কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযানও চলছে। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কোদাইলকাটি গ্রামের মৃত হারান মিয়ার ছেলে কৃষক আবু বক্কর (৫৫) পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুণ্ডি বাজারে মরিচ বিক্রি করতে যান। রাত একটার দিকে রাজাপুর মাঠ থেকে তার জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন।