স্টাফ রিপোর্টার: রাজবাড়ি আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেও রানারআপ হতে হলো চুয়াডাঙ্গা মর্নিংস্টার ক্লাবকে। ১-০ জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে মাগুরা জেলা দল।
গতকাল বুধবার বিকেল ৩টায় রাজবাড়ি জেলার বহরপুর রেলওয়ে স্কুলমাঠে অনুষ্ঠিত তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে চুযাডাঙ্গা মর্নিংস্টার ক্লাবের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ও বিদেশি খেলোয়াড়ের সমন্বয়ে গঠিত তারকা খচিত মাগুরা জেলাদল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজার এক মিনিট আগে মাগুরা জেলা দলের অধিনায়ক স্ট্রাইকার বিপ্লব গোল করে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেয় নিজের দলকে। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে চুয়াডাঙ্গা মর্নিংস্টার ক্লাবের খেলোয়াড়রা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মুহুর মুহুর আক্রমণ করতে থাকে। এ আক্রমণ থেকে বেশ কয়েকটি সুযোগও পেয়েছিলো মর্নিংস্টার দলের খেলোয়াড়রা। তবে সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। তবে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে গোল করতে না পারলেও আর কোনো গোল হজম করতে হয়নি চুয়াডাঙ্গা দলকে। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে ফাইনালে হেরে রানারআপ ট্রফি নিয়েই তুষ্ট থাকতে হয় মর্নিংস্টার ক্লাবকে। ক্লাবের ম্যানেজার অধ্যক্ষ মাহাবুল ইসলাম সেলিম বলেন, আমারা কয়েকটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেও টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে ভালো খেলে পরাজিত হয়েছি। এতে কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। কারণ একটি দলকে পরাজিত হতেই হয়। আমি চুয়াডাঙ্গাবাসীর পক্ষ থেকে সকল খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই এতো বড় একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা উপহার দেয়ার জন্য। চুয়াডাঙ্গা মর্নিংস্টার ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন অধ্যক্ষ মাহাবুল ইসলাম সেলিম এবং কোচের দায়িত্বে ছিলেন হামিদুর রহমান সন্টু। অফিসিয়াল হিসেবে ছিলেন তানভীর আহম্মেদ শিমু, রাজু আহম্মেদ সুমন, মেহেদী হাসান রাসেল প্রমুখ। এছাড়া মর্নিংস্টার ক্লাবের খেলোয়াড়রা ছিলেন গোলরক্ষক আব্দুল কাদের, মিলন বিশ্বাস (অধিনায়ক), মুরাদ, সেলিম, সজিব, শামতি (নাইজেরিয়ান), কেসতা (ক্যামেরুন) আরিফ, বিপ্পা, সাইদুর, মমিন, সাব্বির, তরু, আব্দুল মালেক, টুটুল, রিয়ান ও রাজু আহম্ম্দে সুমন।