অভিভাবকদের প্ররোচণায় স্ত্রী রেখে স্বামীর গাঁ-ঢাকা!

মেহেরপুরে প্রথম স্ত্রীকে ফেলে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে : বিচারের আশায় প্রথম স্ত্রী

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরের এক কলেজছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার প্রায় এক বছর পরে স্বামী অভিভাবকদের প্ররোচণায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অসহায় প্রথম স্ত্রী কলেজছাত্রী মায়ের বাড়ি বসবাস করছে। বিচারের আশায় সে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। আদালতে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলেও জানিয়েছে সে।

মেহেরপুর পৌরসভার বেড়পাড়ার মো. রানার মেয়ে পিংকী আক্তার (১৯) কলেজছাত্রী। সে জানায়, লেখাপাড়া শেষ করার আগেই মেহেরপুর শহরের চক্রপাড়ার আবুল কাশেম কোরাইশীর ছেলে রাশেদুজ্জামান ওরফে রাশেদ (২৫) তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। রাশেদ তার প্রেমিকা পিংকীকে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে গত বছরের ৭ মে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে অ্যাফিডেভিট করে ও পরের দিন চুয়াড়াঙ্গার ভালাইপুর এলাকার এক কাজির মাধ্যমে এক লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে। পরে তারা মেহেরপুর শহরে ফিরে যায় ও একটি ভাড়া বাসায় বাস করতে থাকে। বেশ সুখের দিন তাদের কাটতে থাকলেও গরিব ঘরের মেয়ে বলে তাদের সুখের সংসারে আগুন জ্বালাতে আসে রাশেদের অভিভাবকরা। প্রায় ৪ মাস আগে থেকে রাশেদ তার স্ত্রী পিংকীর সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকে। অভিভাবকদের প্ররোচণায় সে তার স্ত্রীকে ফেলে চলে যায়। বাধ্য হয়ে সে স্বামীর বাড়ি গিয়ে উঠলে তার কপালে আরো অনেক দুঃখ নেমে আসে। স্বামী গৃহের নির্যাতন সইতে না পেরে সে দরিদ্র মায়ের ঘরে উঠেছে। সম্প্রতি রাশেদ তার অভিভাবকদের প্ররোচণায় স্ত্রী পিংকীকে ফেলে শহরের পৌর ঈদগাপাড়ার সোনিয়া নামের এক মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। বর্তমানে রাশেদ শহরে আত্মগোপন করে আছে। তার অভিযোগ প্রায় দু সপ্তা আগে তার শ্বশুর আবুল কাশেম কোরাইশী চক্রপাড়ার রেজাউল মোল্লা ও আলামীন হোসেনের সহযোগিতায় জোর করে তার স্বামী রাশেদকে ওই বিয়ে দিয়েছে। সে এখন চোখে শুধু অন্ধকার দেখছে। তার দাঁড়াবার কোনো জায়গা নেই। লেখাপড়াও বন্ধ হয়ে গেছে। সে আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে। সুষ্ঠু সমাধানের আশায় সে শুধু সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। তবে সে সুষ্ঠু বিচার না পেলে আদালতের আশ্রয় নেবে।