জীবন দিয়ে হলেও রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না
বাগেরহাট সংবাদদাতা: সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির যুগ্মমহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে তাপবিদ্যুত কেন্দ্র নির্মিত হলে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলসহ এর প্রাকৃতিক পরিবেশ চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। বাংলাদেশ অংশের বনের আবাসস্থল হারিয়ে বাঘ-হরিণসহ সকল বন্যপ্রাণী ভারতের বনাঞ্চলে চলে যাবে। এ ছাড়া মৎস্য সম্পদ ও প্রাকৃতিক সকল সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে। তাই জীবন দিয়ে হলেও রামপালে শেখ হাসিনার বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। গতকাল সোমবার দুপুরে মংলা থানা ও পৌর বিএনপির অঙ্গসংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন। সংবর্ধনায় বরকত উল্লাহ বুলু দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রসঙ্গে বলেন, এ সরকার কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। তাই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। সরকার দেশকে ভয়াবহ সংকটের মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সরকারবিরোধী আন্দোলনে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে বুলু বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না। ভোট কারচুপি করে এ সরকার ফের ক্ষমতায় থাকার যে ষড়যন্ত্র করছে তা কখনও সফল হবে না। যতোই ষড়যন্ত্র হোক না কেন দেশের মানুষ ও জনগণ আওয়ামী লীগকে টেনেহেচড়ে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করবে। মংলা পোর্ট পৌরসভার অডিটরিয়ামে পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জেল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সংবর্ধনায় বরকত উল্লাহ বুলুর সহধর্মীনী ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী শামিমা বরকত বুলু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য জসিম উদ্দিন, খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম মনা, মংলা পোর্ট পৌর মেয়র জুলফিকার আলী, থানা বিএনপির সভাপতি মৃধা নজরুল ইসলাম, মাহামুদ হাসান ছোট মনি, ইমরান হোসেন, মাহবুবুর রহমান মানিক, বাবুল হোসেন রনি, আবু হোসেন পনি, বাবুল চৌধুরী, খোরশেদ আলম, ইমান হোসেন, কমলা বেগম, বেবী বেগম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি বাগেরহাট খানজাহান আলী (রহঃ) মাজার জিয়ারত করেন।