স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় সংসদ বহাল রেখে জাতীয় নির্বাচন করা হলে দু দলের সব প্রার্থী সমান সুযোগ পাবে না। বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হলে দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সম্ভাব্য প্রভাব রোধ করা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। তাদের বিশেষ সুবিধা দেয়ার উদ্যোগ ইসিকে সমালোচনার মুখে ফেলবে। সবকিছুর সম্মিলিত ফলাফল হিসাবে নির্বাচনের ফল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হবে।
গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইন কার্যকর নির্বাচন কমিশনে অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র প্রোগাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম হাফিজউদ্দিন খান, উপনির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের ও পরিচালক মোঃ রফিকুল হাসান। বক্তব্যে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে সবার জন্য সমান ক্ষেত্র নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা বাড়ানো, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রভাব দূর করা, আইনি সীমাবদ্ধতা থেকে উত্তরণ, আইনের প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখা এবং জনগণের আস্থা অর্জন ইসির জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ।
এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, দশম সংসদ নির্বাচনেও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্তে প্রশাসনে দলীয় প্রভাব পড়বে। ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। যুগ যুগ ধরে তাদের এ দায়িত্বে রাখতে হবে এমন কথা নেই। ইসির নিজস্ব জনবলকে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দিতে হবে। তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের দিয়ে নির্বাচন করতে সমস্যা নেই।
রোববার প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ৯১(ই) ধারা বাতিলের সুপারিশ করেছিল ইসি। এ ধরনের বিতর্কিত উদ্যোগ নেয়া থেকে ইসিকে বিরত থাকতে হবে। তাদের দলীয় প্রভাব মুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে।