গাংনীতে সাত বাড়ি ও একটি মুরগিখামারে ডাকাতি : বোমা বিস্ফোরণ

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার গোপালনগর ও বানিয়াপুকুর গ্রামের সাত বাড়ি এবং মড়কা বাজারের একটি মুরগির খামারে ডাকাতি হয়েছে। গত শনিবার রাত একটা থেকে আড়াইটার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতি করে পালানোর সময় একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায় ডাকাতদল। এতে একজন আহত হয়। 

জানা গেছে, রাত একটার দিকে গোপালনগর গ্রামের আহম্মেদ আলী, বদিউজ্জামান খেদু ও আমজাদ হোসেন এবং বানিয়াপুকুর গ্রামের আব্দুল হান্নান, আব্দুল মালেক, মকিদুল ইসলাম ও নাজির হোসেনের বাড়িতে সশস্ত্র ডাকাতদল হানা দেয়। অস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে নগদ টাকা, সোনার গয়নাসহ দু লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। বানিয়াপুকুর গ্রামের আতাহার আলীর ছেলে ইকলাছ হোসেন ও আজিজুল হকের ছেলে মুকিদকে বেধড়ক মারপিট করে ডাকাতরা। পালিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল মালেকের বাড়ির পার্শ্বে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় ডাকাতদলের সদস্যরা। এতে আহত হন আব্দুল মালেক। একই সময়ে মড়কা বাজারে নজরুল ইসলামের মুরগির খামার পাহারাদারদের মোবাইলফোন ও মালামাল লুট করে নেয়। রাত একটার দিকে ডাকাতদল প্রথমে ওই মুরগির খামারে প্রবেশ করে। সেখান থেকে গোপালনগর গ্রামে হানা দেয়। ডাকাতি শেষে পায়ে হেঁটে তারা বানিয়াপুকুর গ্রামে পৌঁছায়। গোপালনগরের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হয়ে আসে। স্থানীয়রা বলেছে, গোপালনগর গ্রামের ঘটনাস্থল থেকে বানিয়াপুকুর গ্রামের ঘটনাস্থলের দূরত্ব তিন কিলোমিটারের ওপরে। হেঁটে যেতে বেশ কিছু সময় লাগে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে হয়তো ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করা সম্ভব হতো। নির্বিঘেœ ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় গোটা এলাকায় এখন ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুল আলম বলেছেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। ওই এলাকায় পুলিশি টহলও বাড়ানো হয়েছে।