আলমডাঙ্গার কুয়াতলা-মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার কুয়াতলা-মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহমতুল্লাহ’র বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শ্যামপুর-গোপিদূর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষকের বেতন মন্ত্রণালয় থেকে বের করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি তাদের নিকট থেকে ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন মর্মে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ মারফত জানা গেছে, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করা হলেও শ্যামপুর-গোপিদূর্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জেসমিন খাতুন, নাসরিন আক্তার, সালাউদ্দিনসহ ৪ জনের নাম এমপিওভুত্তির তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়। এ সুযোগ কাজে লাগায় শিক্ষক নেতা কুয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহমতুল্লাহ। তিনি তাদের বলেন, ঢাকাস্থ শিক্ষা ভবনের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ ইউনিটে তার লোক রয়েছে। সেখানে ৫০ হাজার টাকা দিলে পরের মাসের এমপিও সাথে তাদের নাম চলে আসবে। নানা ধরনের হয়রানির শিকার ওই ৪ জন অসহায় শিক্ষক প্রভাবশালী শিক্ষক নেতা রহমতুল্লাহ’র হাতে বেতন পাওয়ার আশায় ১০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা তুলে দেন। এরপর দীর্ঘদিন অপেক্ষা করলেও বেতন আসেনি। বাধ্য হয়ে তারা রহমতুল্লাহকে বাদ দিয়ে ঢাকাস্থ শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করে এমপিওভুক্ত হন। বর্তমানে রহমতুল্লাহ’র নিকট টাকা ফেরত চাইলে তিনি অফিসার দিয়ে চাকরি খেয়ে ফেলবেন বলে উল্টো হুমকি দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে তারা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট বিষয়টি তদন্তপূর্বক রহমতুল্লাহ’র বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এদিকে, এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রহমতুল্লাহ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক সভাপতি ও জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তিনি। আগামী জানুয়ারি মাসে উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। ওই নির্বাচনে তিনি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন ভেবে অনেক শিক্ষক নেতা তার  বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এটা সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ। তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।