স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল দলের শ্রেষ্ট স্ট্রাইকার নির্বাচিত হয়েছে চুয়াডাঙ্গার ছেলে আবু সাদাত মো. সাঈম। গতকাল শনিবার চূড়ান্ত ট্রায়ালে দুজন জার্মান কোচের দৃষ্টি কেড়ে এ অসামান্য কৃতিত্ব অর্জন করে সাঈম। সাঈম জানান, সারা বাংলাদেশ থেকে ৭শ জন ফুটবলারের মধ্যে থেকে সাতদিনব্যাপি বাছায় শেষে গতকাল শনিবার ১৫ সদস্য বিশিষ্ট অনূর্ধ্ব-১৮ চূড়ান্ত ফুটবল দলের নাম ঘোষণা করে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। যেখানে দুজন স্ট্রাইকারসহ ১৫ সদস্য বিশিষ্ট দলের শীর্ষে ছিলো আবু সাদাত মো. সাঈমের নাম। সর্বশেষ দিনে ২৪ জন ফুটবলারের মধ্যে প্লেঅফ ম্যাচে পেনাল্টি এরিয়ার বাইরে থেকে চলন্ত বলে কিক করে গোল করায় নির্বাচক ও জার্মান কোচদের দৃষ্টি কাড়ে সাঈম। আর সারা মাঠ দৌড়িয়ে খেলা তাকে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের জার্সি পরাতে বাড়তি সুবিধা যোগায় ।
এ অসামান্য কৃতিত্বের জন্য সাঈম সর্বপ্রথমে চুয়াডাঙ্গার কৃতীফুটবলার এএফসির সাবেক ফুটবল কোচ সরোয়ার হোসেন মধু, চুয়াডাঙ্গা শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের সভাপতি তরুণ উদীয়মান ক্রীড়া সংগঠক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও কার্পাসডাঙ্গা কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক সাইফুল ইসলামের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করে। শেখ ধনমন্ডি জামাল ক্লাবে নিয়মিত খেলার পাশাপাশি যদি সুযোগ থাকে তাহলে আমি চুযাডাঙ্গা শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের ফুটবল দলের হয়ে খেলতে চাই। সাঈম আরো জানায়, সরোয়ার হোসেন মধুর অনুপ্রেরণায় প্রথমে এয়ারটেল রাইজিং স্টারে খেলার সুযোগ লাভ করি খুলনা ও ঢাকা পর্যায়ে। খুলনার (বাফুফে) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কোচ মো. আব্দুর রাজ্জাক আমাকে খুলনায় থেকে অনুশীলনের কথা বলেন। কিন্তু পড়ালেখার ব্যস্ততার কারণে আমি খুলনায় যেতে পারেনি। তবে রাজ্জাক স্যার ও সরোয়ার হোসেন মধু ওস্তাদ আমাকে সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। তবে কষ্টের কথা হলো গত ২০১২ সালে চুয়াডাঙ্গায় যখন এয়ারটেল রাইজিং স্টার ফুটবলার খেলোয়াড় বাছায় হচ্ছিলো তখন ভালো খেলেও আমার ২৫ জনের মধ্যে জায়গা হচ্ছিলো না। এখানে আসলে প্রকৃত খেলোয়াড়দের বাছায় করা হয় না। স্বজনপ্রীতি ও মুখ দেখে খেলোয়াড় বাছায় করা হয়। আর চুয়াডাঙ্গার বর্তমান জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সবকিছুই তার নিজ মতামতের ভিত্তিতে করতে চান। সে কারণে চুয়াডাঙ্গা ক্রীড়াঙ্গন তথা ফুটবলাঙ্গন থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। যাই হোক তারপরও আমি চুয়াডাঙ্গার ছেলে। চুয়াডাঙ্গাকে আমি ভালোবাসি। আমি ভালো খেলে চুয়াডাঙ্গা জেলার মুখ উজ্জ্বল করার পাশাপাশি দেশের ফুটবলে যাতে ভালো করতে পারি সে জন্য আমি চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর নিকট দোয়া চাই।
আবু সাদাত মো. সাঈম চুযাডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কাঞ্চনতলা গ্রামের আব্দুস ছোবাহান ও মোছা. নূরজাহান খাতুনের ছেলে। সে বর্তমানে কার্পাসডাঙ্গা মহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি প্রথমবর্ষে পড়ালেখা করছে। পাশাপাশি ঢাকার আরামবাগ ফুটবল একাডেমিতে অনুশীলন করছিলো।