বিএসএফ’র হাতে বিনতি আটক : দুজনকে আলাদা করলো আন্তর্জাতিক আইন
দর্শনা অফিস/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: ফেসবুকে চ্যাটিঙের মাধ্যমেই প্রেমসম্পর্ক গড়ার পর দিল্লির যুবকের সাথে কিশোরগঞ্জের যুবতীর বিয়ে হলো। স্বামীগৃহে থেকে ফেরার পথে বিএসএফ’র হাতে বিনতি আটক হলো। আর্ন্তজাতিক আইন আকাশ ও বিনতিকে আলাদা করলো। দামুড়হুদার মুন্সিপুর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিনতিকে দেশে ফেরত দেয়া হলো। বিনতি একাই ফিরলো তার পিতার বাড়িতে।
জানা গেছে, বছর দুয়েক আগে ফেসবুকে চ্যাটিঙের মধ্যদিয়ে প্রেমসম্পর্ক গড়ে ওঠে বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুরের হেলাল উদ্দিনের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বিনতি আফসারি সাথে ভারতের নয়াদিল্লীর বি/৭৫ শশী গার্ডেন এলাকার আশোক বার্মার ছেলে আকাশ বার্মার। গভীর প্রেমের টানে আকাশ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিনতির বাড়িতে আসেন। আকাশ ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে ওই মাসের ২৩ তারিখে বিনতিকে বিয়ে করেন। কয়েক দিনের মাথায় আকাশ ফেরেন আপন ঠিকানায়। এদিকে বিনতি ভারতে স্বামীগৃহে যাওয়ার লক্ষ্যে ভিসা করতে দেন। ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় মাস তিনেক আগে বিনতি অবৈধভাবে মুন্সিপুর সীমান্ত পথে ভারতে যান। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার বিনতি মুন্সিপুর সীমান্ত পথে দেশে ফেরার সময় সকাল সাড়ে ন’টার দিকে ভারতের মহাখোলা মালোপাড়া বিএসএফ’র হাতে আটক হয়। এ নিয়ে বিএসএফ’র পত্রের মাধ্যমেই মুন্সিপুর বিজিবি বিনতিকে গ্রহণের প্রস্তুতি নেয়। সে লক্ষ্যে গতকাল শনিবার সকাল ন’টার দিকে মুন্সিপুর সীমান্তের ৯৩ নং মেন পিলারের নিকট বিজিবি-বিএসএফ’র পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ১০ মিনিটের বৈঠকের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিএসএফ বিনতিকে বিজিবির হাতে সোপর্দ করে। এ সময় বিনতির সাথে স্বামী আকাশ ছিলেন। আন্তর্জাতিক আইনের কারণেই স্বামী আকাশকে যেমন ফিরতে হলো আপন ঠিকানায়, তেমনি আকাশ ছাড়া একাই পিতার বাড়িতে ফিরতে হলো বিনতিকে। পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- মুন্সিপুর ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার আলয় সিউস, হাবিলদার জিল্লুর রহমান, ল্যান্স নায়েক রাসেল প্রমুখ। বিএসএফর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- মহাখোলা বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার এসি দিপক ধাপা। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে বিনতিকে বাড়ির ফেরার সকল ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়।