অস্ত্রের প্রতিযোগিতা কেবলই অপচয়

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ বলেছেন, পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে ভারত-পাকিস্তান নিজেদের বিপুল পরিমাণে সম্পদ নষ্ট করছে। উভয় পক্ষের উচিত এ সম্পদ দেশের উন্নয়নে ব্যয় করা। গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
নওয়াজ বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় দু দেশই বিপুল পরিমাণে সম্পদ নষ্ট করছে।, আমাদের উচিত এ সম্পদ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের পেছনে ব্যয় করা। ভারত-পাকিস্তান সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করলে তার সুফল পাবে এ অঞ্চলের অন্যরা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাথে বৈঠকের আগমুহূর্তেই নওয়াজ এমন মন্তব্য করলেন। আজ নিউইয়র্কে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে দু নেতা বৈঠকে বসবেন। গত তিন বছরের মধ্যে এটাই হবে প্রতিবেশী দু দেশের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম বৈঠক। এ বৈঠকের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং সংকট সমাধানের পথ সুগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নওয়াজ এ বৈঠককে নব সূচনার সুযোগ হিসেবে দেখছেন। বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনায় বসতে আমরা প্রস্তুত। কাশ্মীরসহ সব ইস্যুই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। শান্তি প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমি কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের দেশের জনগণ এবং আমার দীর্ঘদিনের চাওয়া এটাই। এরই মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসের কেন্দ্রস্থল’ বলে অভিহিত করেছেন। প্রতিবেশী দেশের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কারণেই ভারত নানা সমস্যার মুখে পড়ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘নওয়াজ শরিফের সাথে বৈঠকের ব্যাপারে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। যদিও বৈঠক থেকে খুব বেশি কিছু আশা করার নেই।, গত শুক্রবার ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে বৈঠককালে মনমোহন এসব কথা বলেন। জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় সেনা ও পুলিশসহ ১২ জন নিহত হওয়ার পর থেকে নওয়াজের সাথে বৈঠক বাতিলের চাপ বেড়েছে মনমোহনের ওপর। তবে এসব উপেক্ষা করেই তিনি বৈঠকে বসতে চেয়েছেন। বৈঠক শেষে মনমোহনের উচ্ছসিত প্রশংসা করেন ওবামা। মনমোহনকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ উল্লেখ করে ওবামা বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি (মনমোহন) যুক্তরাষ্ট্র ও ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব ভালো বন্ধু ছিলেন।‌‌‌‌’ মনমোহন ২০০৪ সাল থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। সামনে তিনি আর প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউসে এটাই হবে তার শেষ আনুষ্ঠানিক সফর।