ঢাকার সাভার ও ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীসহ সারাদেশে প্রাণহানি সাত
মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন ৩ জন। আহত হয়েছেন ৪ জন। গতকাল শুক্রবার বৃষ্টির সময় পৃথক বজ্রপাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও ঠাকুগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন দুজন। সাভারেও বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের উকতো গ্রামে বজ্রপাতে এখলাস ওরফে কালু (২৭) মারা গেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। সে উকতো গ্রামের আব্দুল মালিথার ছেলে। স্থানীয়রা বলেছে, বাড়ির অদূরে কপিক্ষেতে সেচ দিচ্ছিলো কালু। এ সময় বজ্রপাত ঘটলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এখালাছ দু সন্তানের জনক। গতকালই নিজ গ্রামের কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার খাসমহল গ্রামে বজ্রপাতে একজন নিহত হয়েছেন। একই সময় বজ্রপাতে আহত হয়েছেন মহিলাসহ চারজন। গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে আকস্মিক বজ্রপাতে উপজেলার পৃথক চারটি স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটে। কাথুলী ইউপি সদস্য সালাউদ্দীন জানান, খাসমহল গ্রামের আনছার আলীর ছেলে লাল মোহাম্মদ (৪০) পাটক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিহত হন। এদিকে বজ্রপাতে সাহারবাটি গ্রামের শিল্পী (৩৫) মর্জিনা (৪০) নওয়াপাড়া গ্রামের বাবলু (৩৫) লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের হাসাদুল (৪৫) আহত হন। আহতরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থকমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার টি পাকশির বিলে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে, মহেশপুর উপজেলার জাগুসা গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪০) টি পাকশির বিলে মাছ ধরতে গেলে বজ্রপাত তার মাথায় আঘাত হানে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়াগ্রামে বজ্রপাতে আবুল হোসেন (২৫) ও হাসমত উদ্দীন (১০৫) নামে দু ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাত হলে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জুমার নামাজ শেষ করে আবুল হোসেন ও হাসমত উদ্দীন অন্যান্য মুসল্লিদের সাথে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে এক পর্যায়ে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই দুজনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ফিরিঙ্গিকান্দা বাহেরচর গ্রামে বজ্রপাতে দু কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন-আবুল কালাম (২৮) ও রুহুল আমিন (৩০)। আহত আব্দুল হাকিম, বিল্লাল হোসেন, মোবারক হোসেন ও রহমত আলীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ভাকুর্তা ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর মাহিনুর বেগম জানান, শুক্রবার বিকেলে ফিরিঙ্গিকান্দা বাহের চর গ্রামের সবজিচাষি স্বাধীন ব্যাপারীর ক্ষেতে ১০/১২ জন কৃষক শাক তুলছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে আবুল কালাম ও রুহুল আমিন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কিছুক্ষণ পরেই মারা যান। এ সময় আরও চারজন আহত হন।