স্টাফ রিপোর্টার: চেয়ারম্যানের নিকট মুচলেকা দিয়েছিলো শুকুর কাজি। ইউনিয়নে আর বাল্যবিয়ে পড়াবে না। কথা রেখেছেন শুকুর কাজী। নিজে বাল্যবিয়ে পড়ান না। সে কাজটি সারেন এখন ছেলেকে দিয়ে। কাজি শুকুর আলী ছেলে দিয়ে এমনি একটি বাল্যবিয়ে পড়িয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর তিতুদহের বলদিয়া গ্রামে। বিয়ের রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসার কথা শুনে কথিত কাজি দ্রুত বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। অর্থ পেলেই বাল্যবিয়ে পড়ানো শুকুর কাজির দৃষ্টান্তমূলক শস্তির দাবি তুলেছে সুধীমহল।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, গতপরশু বুধবার রাত আটটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের কাজি শুকুর আলী বড়শলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর বাল্যবিয়ে পড়ানোর জন্য ছেলে আবুবক্করকে পাঠান ইউনিয়নের বলদিয়া গ্রামের বাইনেগাড়ি পাড়ায়। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে কথিত কাজি আবুবক্কর ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে কাবিনের কাজটি সারেন রমজান আলীর মেয়ে নাবালিকা রুনা খাতুন (১১) ও হিজলগাড়ি স্কুলপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে ছামাদুলের (১৭) মধ্যে। সূত্র বলেছে, এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুর আক্তার দাঁড়িয়ে থেকে এ বাল্যবিয়ের কাজটি সারেন। অপর একটি সূত্র বলেছে, শুকুর কাজির ছেলে আবুবক্কর এ সমস্ত বাল্যবিয়ে পড়াতে গিয়ে ভুয়া কাগজে লেখালেখির কাজ করে নিয়ে আসেন। সুযোগ সুবিধা বুঝে আসল কাগজপত্র তৈরি করে পরে মেয়ে এবং ছেলের অভিভাবকদের দিয়ে থাকেন। এ ধরনের ঘটনা প্রায় শুকুর কাজি ঘটায় বলে ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন শুকুর আলী কাজিকে ছয় মাস সাসপেন্ডও করেছিলেন। বাল্যবিয়ে পড়াবে না মর্মে মুচলেকা দিলে সে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য বাবুল আক্তার জানান, আমি বিয়ে বাড়িতে ছিলাম না, বাকি বিষয়টি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন জানেন। বিষয়টির প্রতি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউপি চেয়ারম্যান তদন্তপূর্বক কাজির বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছে সচেতনমহল।