স্টাফ রিপোর্টার: চারজন স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর ৬ষ্ঠ বিয়ের অনুমতি না পেয়ে পঞ্চম স্ত্রী মমিনাকে (৩০) শ্বাসরোধ হত্যা করেছেন বিয়ে পাগল স্বামী আতিকুল ইসলাম (৪৬)। গতকাল বুধবার দুপুরে পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মমিনার বাবা বাছের আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের ছিটরাজিব দুন্দিবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে স্ত্রীর লাশ ঘরের ভেতর রশিতে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালিয়ে পালিয়ে যান স্বামী আতিকুল ইসলাম। কিশোরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) সোলায়মান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি প্রথমে আত্মহত্যা মনে করা হলেও লাশের সুরতহালে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, শরীরে আঘাতের চিহ্ন এবং গলাটিপে ধরার দাগ রয়েছে। ফলে প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি। ছিটরাজিব দুন্দিবাড়ি এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দুলাল হোসেন জানান, গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আতিকুল ইসলাম। তিনি পেশায় মাদুর কারিগর ও ব্যবসায়ী।