মাথাভাঙ্গা মনিটর: পতন হলো ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টির স্রষ্টা লোলিত মোদির। নিজের সৃষ্টি আইপিএলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। যার পরিণতিতে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই) আজীবন নিষিদ্ধ করল তাকে। গতকাল বুধবার চেন্নাইয়ে বিশেষ সাধারণসভার আয়োজন করেছিলো বোর্ড। আট অভিযোগে মোদিকে অভিযুক্ত করে ডিসিপ্লিনারি কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছিলো। তার ভিত্তিতে দেড় ঘণ্টারও কম সময় আলোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেন বিসিসিআই কর্মকর্তারা।
অবশ্য মোদি বিসিসিআইর এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। আইপিএলের সাবেক চেয়ারম্যানকে ছাড়াই এ বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজনে গত মঙ্গলবার বোর্ডকে অনুমোদন দিয়েছিলেন দিল্লি উচ্চ আদালত। জবাবে মোদিকে ছাড়া যেন এ সভা না হয় সেজন্য গতকাল বুধবার উচ্চ আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন তার আইনজীবী। কিন্তু শীর্ষ আদালত এ ইস্যুকে ‘আভ্যন্তরীণ ব্যাপার ও ‘টাকা-পয়সা জড়িত’ বলে তা খারিজ করে দেন। আদালতের এ রায়ের ১৫ মিনিটের মধ্যে বোর্ড মোদিকে আজীবন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত জানায়। এক বিজ্ঞপ্তিতে বিসিসিআই বলে, গুরুতর দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত লোলিত মোদিকে নিয়ে সমাধানে পৌঁছে গেছে। বোর্ডের ৩২ নম্বর বিধি অনুযায়ী বিসিসিআই থেকে লোলিতকে বহিষ্কার করা হলো। প্রশাসক হিসেবে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ও অধিকার হারাবেন তিনি। বোর্ডের কোনো কমিটি, সদস্য, সহযোগী সদস্য বা অন্য কোনো দায়িত্বেই তিনি আর থাকতে পারবেন না। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্টের পদও হারাতে হবে মোদিকে।
আইপিএলের সাবেক এই সভাপতিকে নিষিদ্ধ করতে বোর্ডের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন ছিলো। মোদির একসময়ের বন্ধু ও বর্তমান বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন এখন শত্রু হয়ে যাওয়ায় কাজটা খুব সহজেই হয়েছে। সম্প্রতি মোদি জানিয়েছিলেন, বিসিসিআইর প্রধান হিসেবে শ্রীনিবাসনের মেয়াদ বাড়ানো হলে বিশ্বক্রিকেট ধ্বংস হয়ে যাবে। এ মাসেই শেষ হতে যাচ্ছে শ্রীনির মেয়াদ।