স্টাফ রিপোর্টার: শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) বিলুপ্ত ঘোষণা করলেন এর প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। সোমবার বিকেলে পল্টনের মেহেরবা প্লাজায় নিজ কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিএনএফ বিলুপ্তির এ ঘোষণা দেন তিনি। তবে বিএনএফ আগেই তাকে বহিষ্কার করায় রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে তাঁর এ ঘোষণা। সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার হুদা বলেন, আমার প্রয়াত নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বিএনএফকে সুপ্ত অবস্থা থেকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলাম। দলটির প্রধান সমন্বয়ক এসএম আবুল কালাম আজাদ বিএনএফের সেই উদ্দেশ্যকে সম্পূর্ণভাবে নসাৎ করে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। জাতীয় স্বার্থে সেই অপচেষ্টা প্রতিহত করতে বিএনএফের আহ্বায়ক হিসেবে দলটির বিলুপ্তি ঘোষণা করছি।
এর আগে রাজনৈতিক ময়দানে নানামুখি বিতর্কের জন্ম দেয় সংগঠনটি। বিএনপি থেকে পদত্যাগের পর ২০১২ সালে নতুন করে বিএনএফ গঠন করেন নাজমুল হুদা। শুরু থেকে এর আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এ নেতা। কিন্তু চলতি বছর মার্চ মাসে বিএনএফের সদস্যসচিব আরিফ মাইনুদ্দিন ও প্রধান সমন্বqকারী এসএম আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে নাজমুল হুদাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিটও করেন তিনি নাজমুল হুদা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদনের পর এর মধ্যে বিএনএফসহ দুটি দলকে বিবেচনায় নেয় কমিশন। নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে হলে ২২ জেলা ও ১০০ উপজেলায় সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের কমিটি ও দপ্তর এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটার সদস্য থাকা আবশ্যক। এসব বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকা সত্বেও কমিশন উদ্যোগ নেয় কমিশন। কমিশনের এ উদ্যোগের সমালোচনা করে বিএনপি। বিভিন্ন মহল থেকেও এ নিয়ে সমালোচনার সম্মুখিন হয় কমিশন।