মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে জামায়াতের ডাকা অর্ধদিবস হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার আধাবেলা হরতাল চলাকালে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের একটি স্থানে সড়ক অবরোধ ছাড়া তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নাশকতা প্রতিরোধ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি মেহেরপুর শহর ও জেলার ৪টি প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এছাড়া র্যাবের টহল অব্যাহত ছিলো।
এদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল চলাকালে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার কোনো পরিবহন চলাচল করেনি। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিলো। স্কুল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি কম ছিলো। তবে অফিস আদালত খোলা ছিলো ও ব্যাংক-বীমায় লেনদেন স্বাভাবিক ছিলো। দুপুরের পর থেকে জেলার সব রুটে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এছাড়া দোকানপাট খুলে রাখা হয়। সকাল ৬টার দিকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে সদর উপজেলার আলমপুর এলাকায় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে এবং ব্যানার ধরে অল্প সময়ের জন্য শ্লোগান দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। শহরে হরতালের পক্ষে-বিপক্ষে কোনো পিকেটিং দেখা যায়নি। এদিন সকাল থেকে শহরে এবং মেহেরপুর-কুষ্টিয়া, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর-মুজিবনগর ও মেহেরপুর-কাথুলী সড়কে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের টহল দেখা যায়। শহরসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করতে জেলার পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ ও তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। র্যাব-পুলিশ শহরসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল দেয়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে হরতাল সফল করতে সড়ক অবরোধকালে পুলিশ গুলি চালালে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর এলাকায় দেলোয়ার হোসেন নামের এক জামায়াতকর্মী নিহত ও জামায়াত শিবিরের বেশ কিছু নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এছাড়া সম্প্রতি সময়ে জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মাও. তাজউদ্দিনসহ জামায়াত শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানীর প্রতিবাদে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে মেহেরপুর জেলায় গতকাল রোববার আধাবেলা হরতালের আহ্বান জানানো হয়।