স্টাফ রিপোর্টার: কিংস পার্টি হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) সহসাই নিবন্ধন যোগ্য হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন জোড়াতালি দেয়া প্রতিবেদনের ওপরেই তাদের যোগ্য ঘোষণা করতে যাচ্ছে।
ইসি সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, এর আগে অন্তত দুটি কমিশন সভায় বিএনএফ-কে নিবন্ধন দেয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো। তবে একটি বিশেষ সংস্থার চাপের মুখে এবারে তাদের নিবন্ধন দেয়ার ব্যাপারে ইতোমধ্যে কমিশন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশনের একটি দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, একাধিক কমিশনার দলটির নিবন্ধনের বিপক্ষে থাকলেও অদৃশ্য চাপের কাছে নতি স্বীকার করে বিএনএফ-এর শর্ত পূরণে কমিশন কিছুটা শিথিলতা দেখাচ্ছে। তবে বিএনপির আপত্তির বিষয়টিও তাদের মাথায় রয়েছে। একারণে বিএনএফ-কে নিবন্ধন দেয়া হলেও দলীয় প্রতীক হিসেবে গমের শীষ অথবা রজনীগন্ধা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত নয়। শর্ত পূরণে প্রথম দু দফা ব্যর্থ হলেও তৃতীয়বারের মতো সুযোগ দেয়া হয়েছে দলটিকে। যদিও আইনে এমন সুযোগ দেয়ার কোনো বিধান নেই। দলটির নিবন্ধন প্রক্রিয়ার যাচাই-বাছাই নিয়ে শুরু থেকেই এক ধরনের অস্বস্তিতে ভুগছে ইসি। এবারের তদন্তে ইসির মাঠ পর্যায়ের নিজস্ব কর্মকর্তাদের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিককে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের অনুসারী দাবিদার বহুল আলোচিত এ দলটির নিবন্ধন নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মধ্যেও বিরাজ করছে আতঙ্ক। বিএনপির ১৯ দফা কর্মসূচি উল্লেখ করে ধানের শীষের অনুরূপ গমের শীষ অথবা রজনীগন্ধা প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে বিএনএফ। ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলের জনসভায় বেগম খালেদা জিয়া বিএনএফকে নিবন্ধন দিলে ইসির বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন।
গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ বলেন, বিএনএফের নিবন্ধন এখনো নিশ্চিত নয়। মাঠ পর্যায়ে বিএনএফর পর্যাপ্তসংখ্যক অফিস ও কর্মী আছে কি-না ইত্যাদি তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আমরা যে তদন্ত করেছিলাম, বিএনএফ বলছে ওই তদন্ত সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হয়নি। তাদের এই অভিযোগ আমলে নিয়ে আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি। কমিটিতে আমাদের নির্বাচন কমিশনের বাইরের লোকও আছেন। কমিটি সরেজমিনে গিয়ে তাদের কার্যালয়ের খোঁজ নিয়ে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে।