স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়ার ফাতেমা খাতুনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল বুধবার তার নিকটজনেরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়। ফাতেমা খাতুন (৪০) চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরে শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া বাগানপাড়ার আক্কাস আলীর স্ত্রী। সে অভিযোগ করে বলেছে তার জামাই হাবলুসহ কয়েকজন তাকে মারধর করেছে।
ফাতেমা খাতুন বলেন, গ্রামের মৃত সদর আলীর ছেলে হাবলুর সাথে আমার মেয়ে ববিতা খাতুনকে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালো চলছিলো। তাদের দুই ছেলেও রয়েছে। জামাইয়ের বড়ভাই বাশার আলীর মালেশিয়ায় যাওয়ার কিছু দিনের মাথায় তার স্ত্রী এক সন্তানের জননী জামেলা খাতুনের সাথে পরকীয়া গড়ে তোলে। এ বিষয়ে আমার মেয়ে ববিতা প্রতিবাদ করায় মাঝে মধ্যেই তাকে মারধর করতো এবং তালাক দেয়া জন্যও চাপাচাপি শুরু করে। উপায় না পেয়ে আদালতে মামলা করি। পরে গ্রামের লোকজন মীমাংসা করে দেন। আবারও নতুন করে ওই জামেলার কাছে নিয়মিত আসা-যাওয়া শুরু করে। ববিতা প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার আবারও কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জামাই হাবলুসহ ৭/৮ জন আমার মেয়েকে হেসো দিয়ে কুপিয়ে আহত করে এবং আমার মেয়ে ববিতাকে দলেচটকে মারে।