শুধু তথ্য প্রযুক্তি নয়, সব কিছুরই ভালো এবং মন্দ দিক আছে। মন্দ পরিহার করে ভালোটা গ্রহণ করতে পারলেই পতনের ঝুঁকি থাকে না। বড়রা না হয় ভালো-মন্দের পার্থক্য বুঝে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেও, ছোটরা? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উঠতি বয়সীদের অধিকাংশই তথ্য প্রযুক্তির মন্দটা পরিহার করতে না পেরে অধপতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সমাজে বাড়ছে ধর্ষণসহ কিশোর অপরাধের মাত্রা। অথচ প্রতিকারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। দায়িত্বহীনতা নাকি উদাসীনতা? অদক্ষতা? প্রজন্মকে রক্ষা করতে যথাপোযুক্ত পদক্ষেপ কাম্য।
পত্রিকার পাতায় চোখ রাখলেই হেন দিন নেই যে, ধর্ষণের খবর দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। এরপরও ক’টি ধর্ষণের খবরই আর প্রকাশ পাচ্ছে? অধিকাংশ ঘটনাই ধামাচাপা পড়ে যায়। শিশু ও নারী নির্যাতন রোধে দেশে কঠোর আইন প্রচলিত থাকলেও ধর্ষণের মতো ঘটনা হ্রাস পাচ্ছে না কেন? দৃষ্টান্তমূলক বিচার তথা আইনের দৃষ্টিতে কঠোর শাস্তি অপরাধ প্রবণতা রোধে সহায়ক। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা শুধু হতবাকই করছে না, অপরাধ প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি দেখে সচেতনমহল শঙ্কিত বটে। তাই বলে হতাশ হলে তো চলবে না। সমাজের কোনো সমস্যা গোপন করেও সমাধান সম্ভব নয়। সমস্যার কারণ শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় দাওয়ায় দিতে পারলে সমাজের সামাজিক রোগবালাই দূর হতে বাধ্য। ধর্ষণ কালক্রমে সামাজিক ব্যধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মূল্যে রয়েছে তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার। তা না হলে হাতে হাতে নীলছবি কেন? সেলফোন তথা মোবাইলফোনের মাধ্যমে দেদারছে ডাউনলোড হচ্ছে, ছড়াচ্ছে উঠতি বয়সী থেকে শুরু করে সকল বয়সীদের মাঝে। এর উগ্রতা, এর কুপ্রভাবে কেউ কেউ বিপথগমী হয়ে পড়ছে। তাদের হিংস্রতার শিকার হচ্ছে সমাজেরই কারো না কারো সন্তান। কেউ কেউ তা গোপন করছেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রকাশ পাচ্ছে। দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি উঠছে। অবশ্য ধর্ষণের আড়ালে আরও একটি বিষয় থাকে তা হলো মানসিকতা।
অপরাধ প্রবণতা রোধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সাথে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষতি থেকে সমাজের উঠতি বয়সীদের রক্ষা করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছে। গোটা বিশ্বকে একটি গ্রামে রূপান্তর করেছে। এর ভালো দিকই বেশি। তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্বকে জানার, তথা বদ্ধ ঘরে বিশ্ব বাতাস প্রবেশের জানালা খুলে দিয়েছে। সেই জানালা দিয়ে উপকারী বাতাস প্রবেশের পাশাপাশি ক্ষতিকর বাতাসও ঢুকছে। ওই ক্ষতিকর বাতাস প্রবেশ বন্ধের চাবিও রয়েছে। ওই চাবি যাদের কাছে রয়েছে তাদের কুম্ভঘুম ভাঙুক।