ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঢাকার ৫৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা নিহত রফিকুল ইসলাম হত্যার অভিযোগে তার দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকী ঝরাকে র্যাব গত সোমবার গ্রেফতার করেছে। র্যাব তাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে ঝিনাইদহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে গতকাল মঙ্গলবার আদালতের বিচারক মো. তসরুজ্জামান তাকে দু দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে এ মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলো- নিহতের শাশুড়ি লিপি খাতুন, মহব্বত আলী, সোহেল রানা ও ফজলুর রহমান।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামে শশুরবাড়ি বেড়াতে এসে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামকে অপহরণের পর খুন হয়। সে সময় রফিকুল ইসলামের শশুরবাড়ির লোকজন সাংবাদিকদের কাছে জানায়, একটি শাদা মাইক্রোবাসে কালো পোশাকধারী একদল লোক রফিকুল ইসলামকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের মাঠের পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে বিএনপি নেতা রফিকুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত রফিকুলের ভাই মফিজুর রহমান বাদী হয়ে গত ১৩ জানুয়ারি শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির অগ্রগতির জন্য গত ৫ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে র্যাবের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।
ঝিনাইদহ র্যাবের অধিনায়ক নিয়াজ মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর র্যাবের বিশেষ টিম তদস্তে নামে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ৫ আগস্ট রফিকুল ইসলামের শাশুড়ি লিপি বেগমসহ চারজনকে র্যাব গ্রেফতার করে। পরে লিপি বেগম হত্যাকাণ্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করে ঝিনাইদহ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকী ঝরার সম্পৃক্ততা জানতে পেরে র্যাব তাকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালতের বিচারক দু দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।