ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়ে হলগুলোতে তল্লাশি করেছে পুলিশ। গতকাল রাত সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত আবাসিক হল সূমহে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এদিকে হল প্রভোস্টদের অনুমতি ব্যতীত হলে তল্লাশির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হল প্রভোস্টরা। পুলিশের জানায়, সম্ভাব্য সংঘর্ষের আশঙ্কায় আবাসিক হলে তল্লাশি করা হয়েছে।
এদিকে হল প্রভোষ্টদের অনুমতি না নিয়ে হলে হলে তল্লাশি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন হল প্রভোষ্ট। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হঠাৎ করে পুলিশের প্রায় তিনশ সদস্যের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় হঠাৎ করে এতো পুলিশের উপস্থিতিতে খেলার মাঠে এবং আবাসিক হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাদ্দাম হোসেন হলে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এ সময় হলে আগে থেকেই অবস্থানরত প্রভোষ্ট অধ্যাপক ড. শাজাহান মণ্ডল তাদের সাথে এসে কথা বললে তারা বলেন, এটা ওপরের সিদ্ধান্ত। পরে তারা কয়েকটি কক্ষে তল্লাশি করে। তবে কাউকে আটক করেনি।
একই সাথে পুলিশের আরও তিনটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হল, বঙ্গবন্ধু হল ও লালন শাহ হলে তল্লাশি শুরু করে। তবে কোনো হল থেকে কাউকে আটক করেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলের প্রভোষ্ট অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন ভুঁইয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই হলের তিন তালায় চলে গেলে ছাত্ররা আমাকে জানায় হলে পুলিশ এসেছে। এ সময় আমি হলে গিয়ে পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ওপরের নির্দেশে আমরা তল্লাশি করছি। এভাবে প্রশাসন আমাকে হলে আসার সময়টুকুও না দিয়ে যে তল্লাশি করেছে তা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা পর্যাপ্ত পুলিশ নিয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সকল প্রকার বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে হলে তল্লাশি করেছি। তবে কাউকে আটক করিনি। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।