স্টাফ রিপোর্টার: মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কোনো ব্যক্তিকে বিদেশে পাঠালে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং কমপক্ষে এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী বিল-২০১৩ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। গতকাল রোববার প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন।
উত্থাপনের পর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, আইনলঙ্ঘন করে কোনো ব্যক্তিকে চাকরি দিয়ে বিদেশে পাঠালে, কর্মসংস্থানের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা বা মূল্যবান বস্তু গ্রহণ করলে, বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধার আশ্বাস দিয়ে কোনো ব্যক্তিকে বিদেশে পাঠালে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, নিরাপদ-ন্যায়সঙ্গত অভিবাসন-ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অধিকার-কল্যাণ নিশ্চিত করতে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, প্রায়ই রিক্রুটিং এজেন্সি ও মধ্যস্বত্বভোগীরা বিদেশে গমনকারী কর্মীদের প্রলুব্ধ করতে বিদেশে নিয়োগ নিয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য দেয়। ফলে তারা সহজেই প্রতারণার শিকার হন। বিদেশে কর্মী পাঠানোর কাজ স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করা, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণের জন্য যথাযথ আইন প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ ছাড়াও পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার (সংশোধন) বিল-২০১৩ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বিলটি উত্থাপন করেন। উত্থাপনের পর বিলটি পরীক্ষা ও প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিল পাস: বাংলা একাডেমীর প্রশাসনিক পুনর্গঠন ও কাজের পরিধি বাড়াতে ‘বাংলা একাডেমী বিল-২০১৩’ সংসদে পাস করা হয়েছে। সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, বিশ্ব পরিসরে বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির পরিচিতি ব্যাপকতর করা প্রয়োজন এবং বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক নাগরিক যাতে সহজে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা করতে পারে, তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। কিন্তু প্রচলিত অধ্যাদেশ দ্বারা এসব লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যথোপযুক্তভাবে অর্জন করা সম্ভব নয়।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমী বাংলা শব্দের প্রমিত বানান ও উচ্চারণ নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিলে বিদেশি লেখক ও গবেষকদের আমন্ত্রণ জানানো, বাংলা একাডেমিতে চেয়ার প্রতিষ্ঠা, প্রয়োজনে বিভিন্ন কেন্দ্র ও ইনস্টিটিউট স্থাপনের ক্ষমতা একাডেমিকে দেয়া হয়েছে।