চুয়াডাঙ্গার নেতৃবৃন্দের মেধ্যে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পেলেন আলমডাঙ্গার আবুল কালাম আজাদ : তৃণমূল নেতৃবন্দের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী

 

আমাদের উন্নয়ন অনেকেরই ভালো লাগে না বলেই দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তৃণমূল পর্যায়ে আলোচনার অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করেন। এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়ন অনেকেরই ভালো লাগে না। সে জন্যই দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সতর্ক থাকতে হবে। উন্নয়নের চিত্র সাধারণ জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।

গতকাল শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বরিশাল জেলা, বরিশাল মহানগর, মৌলভীবাজার, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী, পিরোজপুর, বগুড়া, গোপালগঞ্জ, হবিগঞ্জ তৃণমূল নেতাদের সসাথে মতবিনিময়সভায় মিলিত হন। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, মতবিনিময়সভায় চুয়াডাঙ্গার নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পান আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। তিনি আলমডাঙ্গা কেন্দ্রিক প্রার্থী দাবি করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতার লোভে দেশ বেঁচে দিতেও দ্বিধা করবে না। বিরোধীদলীয় নেতা তো চেষ্টাই করেছিলেন, ২১ আগস্ট আমাকে হত্যা করতে। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে তার ছেলে ও কেবিনেটের মন্ত্রীরা জড়িত। আমরা তার ছেলের পাচার করার অর্থ আমরা ফিরিয়ে এনেছি। তারা তো আমাদের পেছনে লেগেই আছে। আওয়ামী লীগে নেতাদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমটিরি সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকি, কাজী জাফর উল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ প্রমুখ।

দলীয়সূত্র বলেছে, শনিবার বেলা তিনটার দিকে গণভবনে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময়সভায় চুয়াডাঙ্গার নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু মুসা, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম মর্তুজা, সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দিন, দামুড়হুদা উপজেলা সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সভাপতি নান্নু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ঠাণ্ডু, চুয়াডাঙ্গা পৌর সভাপতি জহুরুল হক জোয়ার্দ্দার, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক লন্টু। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখার সুযোগ পান একমাত্র আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। এ সময় তিনি বলেন, এলাকায় বর্তমান নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে সাধারণ মানুষ আগামী সংসদ নির্বাচনে নতুন মুখ চাচ্ছেন। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সর্ব বৃহৎ অংশ আলমডাঙ্গা উপজেলা। কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠা সভাপতি মরহুম ব্যারিস্টার বাদল রশিদ ছাড়া গত ৪০ বছরে আলমডাঙ্গা থেকে আর কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে আলমডাঙ্গা কেন্দ্রিক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার জন্য দলীয় প্রধান ও দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন জানান।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক হানিফ, দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, হুইপ আব্দুস শহিদ, দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি বোস প্রমুখ।