মাথাভাঙ্গা মনিটর: চতুর্থ ম্যাচে জিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ১-১ এ সমতা ফেরালো ইংল্যান্ড। গতকাল শনিবার কার্ডিফে তিন উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। গত সোমবার সাউদাম্পটনে হবে সিরিজ নির্ধারণী লড়াই। এর আগে বৃষ্টিতে চার ম্যাচের দুটিই পরিত্যক্ত হয়।
অস্ট্রেলিয়া: ২২৭/১০ (৪৮.২ ওভার), ইংল্যান্ড: ২৩১/৭ (৪৯.৩ ওভার), ফল: ইংল্যান্ড জয়ী তিন উইকেটে।
মাত্র ৫৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা পথচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে অ্যাডাম ভোজকে নিয়ে ৬৭ ও ম্যাথু ওয়েডকে নিয়ে ৮৫ রানের জুটিতে আবারও দলকে পথে ফিরিয়ে আনেন জর্জ বেইলি। ভোজেস ৩০ রানে ও ওয়েড ৩৬ রানে সাজঘরে ফেরেন। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে বেইলি শিকার হন বয়েড ৱ্যাঙ্কিনকিনের। এর আগে ৯১ বলে ৮৭ রানের সেরা ইনিংস খেলেন তিনি। অসিদের সংগ্রহে আরও ছোটখাটো অবদান রাখে শন মার্শের ২৫ ও অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের ২২ রান। ইংলিশ স্পিনার জেমস ট্রেডওয়েল সর্বাধিক তিন উইকেট শিকার করেন। দুটি করে নেন স্টিভেন ফিন ও ৱ্যাঙ্কিনকিন। লক্ষ্যে নেমে দলীয় ৮ রানে অসি পেসার ক্লিন্ট ম্যাককের হ্যাটট্রিকের কবলে পড়ে ইংল্যান্ড। ডানহাতি এই বোলার নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে একে একে সাজঘরে ফেরান কেভিন পিটারসেন, জোনাথন ট্রট ও জো রুটকে।
টালমাটাল ব্যাটিং লাইনআপকে আবার দাঁড় করান মাইকেল কারবেরি ও অধিনায়ক ইয়ন মরগান। ১০৪ রানের জুটি গড়েন তারা। দুজনেই ফিফটি হাঁকান। মরগান ৫৩ রানে শেন ওয়াটসনের কাছে বোল্ড হন। কিছুক্ষণ পর তাকে অনুসরণ করেন কারবেরিও। ৬৩ রানের সেরা ইনিংস খেলেন এ ওপেনার। রবি বোপারা যখন জেমস ফকনারের শিকার তখন দলীয় স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেটের বিনিময়ে যোগ হয়েছে ১৪৪ রান। কঠিন হয়ে যাওয়া লক্ষ্যকে অবশেষে অতিক্রম করেন জোস বাটলার। বেন স্টোকসের (২৫) সাথে ৭৫ রানের জুটি গড়ার পাশাপাশি ৬৫ রানে অপরাজিত থেকে জয় ছিনিয়ে আনেন বাটলার। ম্যাককের চারটির পাশাপাশি একটি করে উইকেট দখলে নেন ফকনার, ওয়াটসন ও নাথান কোল্টার-নাইল।