স্টাফ রিপোর্টার: আগামী মাসে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্থায়ী পে-কমিশনের ঘোষণা দেয়া হবে। এখন টিওআর করা হচ্ছে। আর এ সরকারের সময় মহার্ঘ ভাতা দেয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটেই আমি স্থায়ী পে-কমিশন গঠনের কথা বলেছিলাম। আগামী মাসেই সেটি ঘোষণা করা হবে।
সরকার পে-কমিশনের সাথে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতাও ঘোষণা করবে কি-না জানতে চাইলে মুহিত বলেন, হ্যাঁ, মহার্ঘ ভাতাও দেয়া হবে। আমরা তো আরও কিছুদিন আছি। আমাদের আমলেই মহার্ঘ ভাতা দিয়ে যাবো। বর্তমানে দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১৩ লাখ। এর মধ্যে চাকরিতে সক্রিয় আছেন প্রায় ১১ লাখ। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ১ জুলাই সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়।
আর্থিক প্রতিবেদন আইন ২০১৩ নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া আইনটি বিল আকারে সংসদের এ অধিবেশনেই উপস্থাপন করা হবে। তবে একটি মহল আইনটি পাসের বিরোধিতা করছে বলেও জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টরা যেসব ভুল-ত্রুটি করেন, ফাঁকি দেন, তারা চান না যে সেটা ধরা পড়ুক। চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট অভিযোগ আছে। স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা সব কিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাদের রিপোর্টের সাথে বাস্তবতার সম্পর্ক সব সময় থাকে না। তাদের অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে এবং নিয়ন্ত্রক কমিশনের কাছে দায়বদ্ধ করতে হবে।
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিলো জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে এটি সংসদে উপস্থাপন করা হয়। মন্ত্রী আরও জানান, তখন এটি পাস করা হয়নি, কারণ আমরা চেয়েছি আইনটি নতুন করে করা হবে। সে কারণে সংসদ থেকে একটি কমিটি করে দেয়া হয়। এ কমিটির ওপরও ওই চক্র প্রচুর চাপ প্রয়োগ করে। আর কমিটিও প্রতিবেদন জমা দিতে চার বছর সময় লাগিয়েছে।
এর আগে আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাথে গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল, মহাসচিব এমএ আলীমসহ অন্য নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা মন্ত্রীর কাছে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, রেশন ও অবসরকালীন আর্থিক সুবিধার দাবি জানান। জবাবে অর্থমন্ত্রী তাদের বলেন, সরকারের শেষ সময়ে এসে সব দাবি পূরণ করা কঠিন। তবে দুয়েকটি দাবি সরকার বিবেচনা করবে। বিশেষ করে চেয়ারম্যান ও টিএনওদের ব্যক্তিগত কাজে গ্রাম পুলিশদের ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়ে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।