দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন প্রধান ও ধর্মীয় শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কার

নেয়া হচ্ছে না চড়ান্ত সিদ্ধান্ত : লিয়াকত ও নুরউদ্দিনের প্রতীক্ষা

 

দর্শনা অফিস/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: ১৯৫৪ সালে তৎকালীন শিক্ষানুরাগীদের উদ্যোগে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিলো সুনামের সাথে। খানেকটা হঠাত করেই যেন এলোমেলো হলো অনেক কিছু। টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক লিয়াকত আলী ও জাল সার্টিফিকেটে চাকরি নেয়ার অভিযোগে ধর্মীয় শিক্ষক মাও. নুরউদ্দিনকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ।

জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাত থেকে ১৩ লাখ ৭ হাজার ১৫৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় প্রধান শিক্ষক লিয়াকত আলীকে। পরিচালনা পর্ষদের দফায় দফায় বৈঠকের পর সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে পৌঁছুলেও ১০ মাসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছুতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মাও. নুরউদ্দিনের বিরুদ্ধে দাখিল পাসের জাল সার্টিফিকেটের অভিযোগ তুলে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। দু শিক্ষকের বহিষ্কারের কারণ হিসেবে জানা গেছে, লিয়াকত আলীকে কয়েকবার আত্মসাতের টাকা ফেরত দেয়ার নোটিশ দেয়া হলেও তিনি যথা সময়ে টাকা ফেরত দেননি। এদিকে মাও. নুরউদ্দিন ১৯৬৫ সালে দাখিল পাসের সার্টিফিকেটে চাকরি পান। সে সার্টিফিকেট অনুযায়ী মাও. নুরউদ্দিনের বয়স তখন ৯ বছর ৮ মাস। ফলে তার সার্টিফিকেট জাল হিসেবেই প্রতিয়মান হয়। মাও. নুরউদ্দিনের ক্ষেত্রে একই দশা। ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও নেয়া হয়নি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শহিদুল হক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়রুল বাসার বলেছেন, লিয়াকত আলী অনিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করেছিলেন। লিয়াকত আলী ১৯৮১ সালে করণিক কাম সহকারী শিক্ষক হিসেবে এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ২০০৩ সালে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় শুরু হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া। নিয়োগপত্রে প্রধান শিক্ষক পদের জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষকের ২ বছরের অভিজ্ঞার কথা উল্লেখ থাকায় লিয়াকত আলী বাগোয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জাল অভিজ্ঞতা সনদপত্র সংগ্রহ করে প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করেন। দীর্ঘদিনেও দু শিক্ষক সাময়িক বহিষ্কারের পরেও চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে না পৌঁছুনের ব্যাপারে জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শিক্ষাবোর্ডে সুপারিশ প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।