দর্শনা অফিস: কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের স্বার্থ পরিপন্থি বক্তব্যের অভিযোগ তুলে সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলামকে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কৈফিয়ত তলব করা হয়। সাত দিনের মাথায় কৈফিয়তের লিখিত জবাব দিলেন হাফিজ। এই প্রথম ইউনিয়নের এ ধরনের কৈফিয়তের ঘটনা ঘটলো। কেরুজ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদীন ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স স্বাক্ষরিত গত ৩ সেপ্টেম্বর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সূর্যসেনা শ্রমজীবী সংগঠনের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম হাফিজকে কৈফিয়ত তলবপত্রে উল্লেখ হয়, ২৮ আগস্ট কেরুজ সূর্যসেনা শ্রমজীবী সংগঠনে মতবিনিময়সভায় ইউনিয়নের স্বার্থের পরিপন্থি বিভিন্ন বক্তব্য দেয়ার কথা। যা ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রের ১৯ নং অনুচ্ছেদের স্পস্ট লঙ্ঘন। গঠনতন্ত্র পরিপন্থি এ ধরনের কার্যকলাপের জন্য ৫ নং গ ধারা মোতাবেক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা পত্র পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়। তারই প্রেক্ষিতে হাফিজুল ইসলাম হাফিজ স্বাক্ষরিত কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত জবাবপত্র গতকাল মঙ্গলবার জমা দেয়া হয়েছে। জবাবপত্রে বলা হয়েছে, সূর্যসেনা শ্রমজীবী সংগঠনে মতবিনিময়সভায় ইউনিয়নের স্বর্থ পরিপন্থি বক্তব্য প্রকাশ করে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। কারণ শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বার্থে এবং ইউনিয়নের ঐক্য ও সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বদলীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। যার আলোচ্য বিষয় ছিলো- ‘ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সংশোধন, কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের সমন্বয়করণ, চাকরিচ্যুত শ্রমিক-কর্মচারীদের পুর্নবহাল ও ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তিকরণ। ওই আলোচনাকালে ৬২ জন সুধি ব্যক্তিসহ ১৪ জন প্রতিনিধিত্বকারী শ্রমিক-কর্মচারী নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়। সে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ইউনিয়নের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য শ্রমিক-কর্মচারীদের পক্ষে ন্যায়সঙ্গত দাবিনামা মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বরাবর পেশ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেখানে ইউনিয়নের স্বার্থ পরিপন্থি কোনো আলোচনা হয়নি। লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ্য করা হয়েছে, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে তা প্রযোজ্য নয়। কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের ইতিহাসে হাফিজুল ইসলামকে কৈফিয়ত তলব এ প্রথম বলেও দাবি আরও লিখেছেন, যা ইউনিয়নের ইতিহাসে কালো দলিল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তাই হিংসাত্মক ও মানহানিকর মানসিকতা পরিহার করে শ্রমিক-কর্মচারীগণের স্বার্থ সংরক্ষণে ইউনিয়নের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।