মাথাভাঙ্গা মনিটর: ব্রাজিলের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না অস্ট্রেলিয়া। দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমারের নৈপুণ্যে প্রীতি ম্যাচে অতিথিদের ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। একটি গোল করার পাশাপাশি তিনটি গোল করিয়েছেন বার্সেলোনা তারকা নেইমার। দলের সহজ জয়ে দুটি গোল করেছেন দীর্ঘদেহী স্ট্রাইকার জো। এছাড়া একটি করে গোল করেছেন রামিরেস, আলেসান্দ্রে পাতো ও লুইস গুস্তাভো।
গত শনিবার ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের আয়োজকদের মাত্র ৮ মিনিটেই এগিয়ে নেন জো। ডিবক্সের ভেতর থেকে নেইমারের ক্রস থেকে বার্নাডের ভলি ক্রসবারে লাগলে ফিরতি বলে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান আতলেতিকো মিনেইরোর এ স্ট্রাইকার। কোচ ফিলিপ লুই স্কলারির আস্থার প্রতিদান দিয়ে ৩৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান জো। এবার ডান প্রান্ত দিয়ে ছুটে আসা মিডফিল্ডার বার্নার্ডের ক্রসে লাফিয়ে পা ছুঁইয়ে দারুণ এক গোল। পরের মিনিটে দর্শকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান বার্সেলোনা তারকা নেইমার। রামিরেসের ডিফেন্স চেরা পাস, নেইমারের কোনাকুনি দৌড় আর ডান পায়ের প্লেসিং ব্যবধান করে ফেলে ৩-০।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬ জন বদলি খেলোয়াড় নামালেও পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের আক্রমণের ধার কমেনি। ৫৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নামা ম্যাক্সওয়েলের কাছ থেকে বল পেয়ে হেডে গেল করেন চেলসির রামিরেস। শেষ দুটি গোলের উৎস নেইমার। ৭৩ মিনিটে তার পাস থেকে ব্যবধান ৫-০ করে ফেলেন আলেসান্দ্রে পাতো। ৯ মিনিট পর গোল উৎসবে যোগ দেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার লুইস গুস্তাভো। নেইমারের পাস থেকে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে বল জালে জড়ান তিনি। সময়টা ভালো যাচ্ছে না এশিয়া থেকে ইতোমধ্যে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলা অস্ট্রেলিয়ার। শেষ চার খেলায় জয়শূন্য থাকলো দলটি। আর অস্ট্রেলিয়ার সাথে মুখোমুখি লড়াইয়েও আরো এগিয়ে গেল গত জুনে অনুষ্ঠিত ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। এ পর্যন্ত মোট সাত বার একে অপরের বিপক্ষে খেলেছে তারা। ব্রাজিল জিতেছে পাঁচবার, অস্ট্রেলিয়া একবার। অন্য ম্যাচটি ড্র হয়েছে। বিশ্বকাপ ফুটবলে স্বাগতিক দেশ বলে বাছাই পর্বের ম্যাচগুলো খেলতে হচ্ছে না ব্রাজিলকে। নিজেদের ঝালিয়ে নিতে ভরসা তাই প্রীতি ম্যাচগুলোই, যার পরেরটিতে পর্তুগালের বিপক্ষে খেলবে তার। আগামী বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের জিলেট স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচটি।