স্টাফ রিপোর্টার: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএম নিয়াজ উদ্দিন বলেছেন, চিকিৎসকরা উপজেলা পর্যায়ে থাকতে চাচ্ছেন না। এতে গ্রামপর্যায়ে চিকিৎসা সেবা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। নিয়োগকৃত চিকিৎসকদের কমপক্ষে দু বছর উপজেলায় থাকতে হবে, এ ধরনের নির্দেশ দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। গতকাল রোববার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় চিকিৎসক ও নার্সের সঙ্কট প্রসঙ্গে সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এটা শুধু পাহাড়ি এলাকার সমস্যা নয়, সারা বাংলাদেশের সমস্যা। আমাদের চিকিৎসকরা অনেকেই সেবার মনোভাব নিয়ে গ্রামে যেতে চান না। এটা খুবই দুঃখজনক। চিকিৎসকদের তদবির করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহরে আসার জন্য অনেক চিকিৎসক মহাপরিচালকের কাছে এতোবার ফোন করেন যে, তিনি অনেক সময় মোবাইলফোন বন্ধ রাখেন। আর নানা কারণে এটা ঠেকানো এতো কঠিন যে, আমাদেরও কিছুই করার থাকে না। মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার আশাব্যঞ্জকভাবে কমেনি বলে অভিমত ব্যক্ত করেন সচিব। ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রতিবন্ধকতা হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) ও লাইন ডাইরেক্টর (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, ২০১২ সালে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো মাত্র ২৭১ জন। আর এর আগে ২০১১ সালে ছিলো ৪৭৫ জন। ম্যালেরিয়াতে মৃত্যুর হার প্রতি লাখে মাত্র দশমিক এক। তবে গত জুলাই মাসে হঠাৎ করেই ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। ভৌগলিক সীমাবদ্ধতা, অপর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুবিধা এবং দক্ষ জনশক্তির অভাব, দুর্বল যাতায়াত ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারণে মারাত্মক ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের দেরিতে চিকিৎসা গ্রহণের কারণে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর হার বেড়েছে।