মাথাভাঙ্গা অনলাইন ঃ দেশ-বিদেশে বহুল আলোচিত বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানি হত্যার দায় থেকে রেহাই পেয়েছেন অভিযুক্ত ভারতীয় বিএসএফ’র সদস্য কনস্টেবল অমিয় ঘোষ। বৃহস্পতিবার বিএসএফ’র নিজস্ব আদালত এ রায় দেন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পার হয়ে দেশের আসার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। দীর্ঘক্ষণ তার লাশ কাটাতারের বেড়ায় ঝুলে ছিল।
বিএসএফের সূত্রগুলো এই খবর নিশ্চিত করেছে। তবে বাহিনীর তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
সেনাবাহিনীর কোর্টমার্শালের সমতুল্য বিএসএফের নিজস্ব আদালত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট তাদের বিচার শেষ করেছে বৃহস্পতিবার। এই রায়টি চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য বাহিনীর মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হবে।
আগস্টের ১৩ তারিখ থেকে ফেলানি হত্যা মামলার বিচার চলছিল ভারতের কোচবিহার জেলায় সোনারি বিএসএফ ছাউনিতে।
মোট পাঁচজন বিচারক গোটা বিচার প্রক্রিয়া চালান আর কোর্ট পরিচালনা করেন বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি কমিউনিকেশনস সি পি ত্রিবেদী।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার অন্তর্গত চৌধুরীহাট সীমান্ত চৌকির কাছে কাঁটাতারের বেড়া পেরোনোর সময়ে ফেলানি খাতুন কনস্টেবল অমিয় ঘোষের গুলিতে মারা যান। দীর্ঘক্ষণ তাঁর দেহ বেড়ার ওপরেই ঝুলে ছিল।
ঘোষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন এবং বিএসএফ আইনের ১৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। ফেলানি হত্যার মামলায় সাক্ষ্য দিতে বাংলাদেশ থেকে তার বাবা ও মামা ভারতে গিয়েছিলেন। সূত্র – বিবিসি বাংলা (মাথাভাঙ্গা এম.এম)