দেশের আট অঞ্চলে সমাবেশ করবে বিএনপি – নোমান

মাথাভাঙ্গা অনলাইন : তত্ত্বাবধ‍ায়ক  সরকারের দাবিতে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দেশের বিভিন্ন স্থানে আটটি গণসমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।
শুক্রবার বেলা ১১টায় পল্টনস্থ বিএনপি’র প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে  নোমান এ কথা জানান।
নোমান বলেন, সমাবেশগুলো দেখেই এই ফ্যাসিস্ট সরকার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে বাধ্য হবে। নরসিংদীর গণসমাবেশ আমাদের এ প্রক্রিয়ারই প্রথম পদক্ষেপ।
এ সময় তিনি সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিধান রেখে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বর্তমান প্রশাসনকে দলীয় অনুগত উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রশাসনকে সরকার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে চায়। হেফাজতকে কেন্দ্রে করে প্রশাসন যেভাবে সরকারের সাফাই গাইছে তাতে মনে হচ্ছে এটি দলীয় প্রশাসন।
এ প্রশাসনের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, দলীয় সরকারের অধীনেও কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। এমনকি এরশাদও এ নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে উল্লেখ করেন নোমান।
সংবাদপত্রসহ ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার স্বাধীনতা নেই মন্তব্য করে নোমান বলেন, সত্য প্রকাশের অভিযোগে আমার দেশ ও দিগন্ত টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান অধিকারের সম্পাদক  আদিলুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
নামে সংসদীয় সরকার হলেও এটি বাকশালের চেয়েও জঘন্য সরকার বলে উল্লেখ করে নোমান বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ বিভিন্ন নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
আন্দোলন নির্বাচনের অংশ, নির্বাচন আন্দোলনের অংশ উল্লেখ করে নোমান বলেন, সরকার যদি সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করতে চায় তাহলে আমরা অংশগ্রহণ করব। তবে লোক দেখানো আলোচনার কথা বললে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের পথই বেছে নেব।
আন্দোলনের মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে নীল নকশা করা হয়েছে তা ভেঙে দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ১৮ দলীয় জোটের শরীক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির যুগ্ম মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমান, বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক শামিমুর রহমান শামিম, জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য ডা. রেদোয়ান উল্লাহ শাহেদী,  খেলাফত মজলিশের মহাসচিব  আহমেদ আবদুল কাদের,  লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লা আল মেহেদী, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়াসহ ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।