চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের জনিকে কোপানো মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা

 

একটিতে জিপু আরেকটিতে খুস্তার জামিল প্রধান আসামি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের জনিকে কোপানোর জের ধরে মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা অবশেষে পাল্টাপাল্টি মামলায় গড়িয়েছে। দু পক্ষের দুজন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এ দুটি মামলা দায়ের করেছেন। একটি মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জীপুসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। অপর মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা খুস্তার জামিলসহ আসামির তালিকায় রয়েছে ২৫ জনের নাম। উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে।

গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের দু পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার গোলাম সরোয়ারের ছেলে জনি ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হন। পরবর্তীতে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। হামলা পাল্টা হামলার ঘটনায় দু পক্ষের মামলা নিয়ে গ্রেফতার আতঙ্কে আছেন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের বেশ কিছু নেতাকর্মী। গত ৩ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা ইমারজেন্সি রোডের আব্দুল লতিফের ছেলে রাজু আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়ার লুৎফর রহমানের ছেলে। এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়ার বাবর আলীর ছেলে কালু, আরামপাড়ার আদম আলীর ছেলে বিপ্লব, জাহাঙ্গীরের ছেলে সজল একই পাড়ার মালেকের ছেলে হাসান, গুলশানপাড়ার মানজেতের ছেলে জানিব, মুক্তিপাড়ার জাহাঙ্গীরের ছেলে জ্যাকি, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার ইসমাইল, মহিলা কলেজপাড়ার ইরান ও জিতুসহ অঙ্গাতনামা আরো ১০/১৫ জন। এই মামলার তদন্ত করছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই খলিল। অপরদিকে এই মামলা দায়েরের পরদিন গত ৪ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা শহরের আরামপাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে মমিনুল হাসান বাদী হয়ে পাল্টা মামলা করেছেন। এ মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক খুস্তার জামিলকে  প্রধান আসামি করা হয়েছে। খুস্তার জামিল চুয়াডাঙ্গা ফেরিঘাট রোডের রফিক বিহারীর ছেলে। এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন গুলশানপাড়ার ফেরদৌস ওয়ারা সুন্নার ছেলে গালিব, একই পাড়ার ইস্রাফিলের ছেলে তুষার, পলাশপাড়ার আলাউদ্দীনের ছেলে শান্তি, মাঝেরপাড়ার ওহাবের ছেলে তামিম হাসান তারেক, আইয়ুব আলীর ছেলে রহমান, একই পাড়ার শাহাবুল, তালুর ছেলে হিমেল, মসজিদ পাড়ার ইদুর ছেলে ইমরান একই পাড়ার লিপু, আসলামের ছেলে রাছেল, ইমারজেন্সি রোডের আব্দুল লতিফের ছেলে রাজু আহমেদ, সাতগাড়ির বিশের ছেলে খালিদ, হকপাড়ার জীম, দৌলাতদিয়াড়ের রানা, একই পড়ার রাসেল, রেলপাড়ার আজাদ মালিতার ছেলে রুবাইত বিন সুস্তিসহ অঙ্গাতেআরো ৮/১০ জন। এই মামলার তদন্ত করছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই মকবুল।

প্রসঙ্গত, ছাত্রলীগের দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় চুয়াডাঙ্গা শহর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গত ৩০ আগস্ট রাতে জনিকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখমের পর রাজুর বাড়িতে হামলার পর ৩১ আগস্ট শনিবার আরামপাড়ার হাসানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। পরে মাছ পাট্টির মাছ শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তছনছ করার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া পাল্টাপাল্টি অবস্থান আর লাঠিসোঁটাসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে দিনভর মহড়ায় শহর জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করে।