হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ ফেলে পলায়ন : লাশ উদ্ধার

জামজামি প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডুর ধুলিয়া গ্রামের ঘরজামাই ৩ সন্তানের জনক কুষ্টিয়া ইবির শঙ্করদিয়া গ্রামের ঝুমুর আলীর (৪৫) তার শ্বশুরবাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ ফেলে সটকে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে নিহতের এক ভাইসহ স্বজনেরা যান। হাসপাতাল চত্বরে শ শ উৎসুক নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে এ  মৃত্যুর নৈপথ্যে রহস্য নিহীত রয়েছে দাবি তুললে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশ গতরাতেই তার লাশ উদ্ধার করে থানা কম্পাউন্ডে নিয়ে রাখে । আজ শুক্রবার ঝিনাইদহ হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা।

জানা গেছে, কুষ্টিয়া ইবির গোস্বামীদুর্গাপুর ইউনিয়নের শঙ্করদিয়া গ্রামের মৃত দরাপ আলীর ছেলে ঝুমুর আলীর (৩৫) ১৪/১৫ বছর আগে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের ধুলিয়া গ্রামের ফেলু মণ্ডলের মেয়ে ফরিদা খাতুনের সাথে বিয়ে হয়।

হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি মো. মহিবুল ইসলাম বলেন, তিনি মৃত ঝুমুরের  পরিবারকে খবর দেন। সন্ধ্যায় নিহতের এক ভাই থানায় পৌঁছে দাবি করেন তার ভাইয়ের মৃত্যুর নৈপথ্যে রহস্যনিহীত রয়েছে। তিনি শুনেছেন, ঝুমুর গতকাল শ্বশুরবাড়িতে পৌছে স্ত্রী ফরিদাকে তার নিজ ভিটায় ফিরিয়ে নিতে শুরু করে জোরাজুরি এ সময় তাকে মারপিট করে ফরিদার ভায়েরা। এমন হতে পারে মারপিটে বেগতিক অবস্থা হলে শেষে বিষ ঢেলে নাটক করা হয়েছে আত্মহননের।