স্টাফ রিপোর্টার: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু ও যুগ্মআহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবিরের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ন’টার দিকে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকায় সাবেক পৌর কমিশনার সামাদের ঘর নামে পরিচিত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই রাস্তায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে আসাদুজ্জামান কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাকে সামাদের ঘরে ডেকে নিয়ে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু বিনা কারণে গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করলে সাথে থাকা যুবলীগ নেতা লালাসহ অন্যরা রঞ্জুকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। এরই এক পর্যায়ে হঠাত করেই পেছন দিক থেকে লোহার রড দিয়ে লালার মাথায় আঘাত করেন সাবেক পৌর কমিশনার সামাদ। এরপর দুজন দৌঁড়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।
মাথায় আঘাতের শিকার যুবলীগ নেতা লালা বলেন, একই দলের নেতা বাইরের লোকজনের সামনে অশ্রাব্য ভাষায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে অন্য নেতাকে যেভাবে গালিগালাজ করছিলেন তা নিষেধ করতে গিয়ে আকস্মিকভাবে সামাদ আমার মাথায় আঘাত করেন। ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার নেপথ্য সম্পর্কে শহরে নানা মানুষের মুখে নানান রকম কথা শোনা গেছে। বিষয়টি টক অফ দ্যা টাউনে পরিণত হয়। বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধা ভবনের টেন্ডার নিয়ে রঞ্জু এবং কবিরের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গতরাতের ঘটনা তারই বহির্প্রকাশ। এ ভবনের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে কুষ্টিয়া থেকে। গতকাল যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবির এ কাজেই নাকি কুষ্টিয়া গিয়েছিলেন আর ওই ক্ষোভেই আরেফিন আলম রঞ্জু তাকে গালিগালাজ করেন। যুবলীগ আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জুর বক্তব্য শোনার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগে একাধিক গ্রুপিঙের খবর বেশ পুরোনো। গতকালের ঘটনার পর তা আবার ভালোভাবে প্রকাশ পেলো বলে মন্তব্য করেছে সুধীমহল। তারা আরও জানিয়েছে, বর্তমান মহাজোট সরকারের ক্ষমতার শেষ দিকে এসেও চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতে না পারলে ভবিষ্যতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। যার প্রভাব পড়তে পারে আগামী নির্বাচনে।