ঢাবিতে ছাত্র-শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৯

মাথাভাঙ্গা অনলাইন :  রাজধানীর আনন্দ বাজার মাকের্টের শ্রমিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদের সঙ্গে ৩৪নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সভাপতি মীর ছমির, ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ট শ্রমিক লীগের সভাপতি খায়ের হোসেন বাচ্চুর দল এবং পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশের ছুড়া বাবার বুলেট বিদ্ধ হয়ে ৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে আনন্দ বাজার মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আনন্দ বাজার মার্কেট দখলের উদ্দেশ্যে ৩৪নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সভাপতি মীর ছমির ও ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ট শ্রমিক লীগের সভাপতি খায়ের হোসেন বাচ্চু তাদের দলবল নিয়ে এসে ভাঙচুর চালায়। এ সময় ঢাবির অমর একুশে হলের কয়েকজন ছাত্র  সেখানে নাস্তা করছিলেন। ঘটনা দেখে তারা বাধা দিতে আসেন। এতে আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের মারধর করে। এ ঘটনা দেখে মার্কেটের শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ওই দলের উপর হামলা চালায়

এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এ হামলায় তিন জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজন ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব। বাকিদের ব্যাপারে এখনও জানা যায়নি।
এ হামলার ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে ঢাবির শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে একটি বাসে ভাঙচুর চালায়। এতে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম  বলেন, ঘটনা এখনও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। তবে আনন্দ বাজার মাকের্টের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে তাদের সঙ্গেও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। চানখারপুল ও এর আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের সদস্যরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’