মো. শাহাবুদ্দিন: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত জবাই করা গরুর মাংস নাড়াচাড়া করে কসাই ও মহিলাসহ ৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিশ্চিত হয়ে আক্রান্তদের নিয়মিত চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামে গত ১০/১২ দিন আগে গ্রামের আমির চাঁদের একটি বলদ গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই দিন রাতে গ্রামের জুড়ন মণ্ডলের ছেলে কসাই শাহাবুদ্দীকে (৪৫) ডেকে গরুটি জবাই করে। ওই রাতেই গরুর মাংস গ্রমের মানুষের কাছে ২৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। গত শুক্রবার কসাই শাহাবুদ্দীনের দু হাতে একাধিক ফোকশা দেখা দিলে সে দামুড়হুদা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সন্দেহ হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসকরা নিশ্চিত হন তিনি অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত। পরে একই গ্রামের আব্দুল মজিদের স্ত্রী আনজিরা (৪৫), মহাসিনের স্ত্রী রেশমী (২২), জহুরুল্লার স্ত্রী জনুরা (৪৫), মোক্তারের স্ত্রী বিউটি (২৫), সুরত আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন (৫০), কাওছারের স্ত্রী তহমিনা (৩১) ও রফিক বিশ্বাসের মেয়ে রাফিজা (১২) ওই গরুর মাংস নাড়াচাড়া করে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ওই গরুর মাংস যারা কিনেছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কী কারণে গরু অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হলো তা জানার জন্য এখন পর্যন্ত উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে কেউ খবর নেয়নি এবং তাদের দেখা যায়নি।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. কর্মকর্তা ডা. আবুল হোসেন (ভারপ্রাপ্ত) জানান, আক্রান্তদের সবসময় খোঁজখবর নেয়া ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, কোনো অসুস্থ গরু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই জবাই করা উচিত নয়। বুধবার চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আক্রান্ত রোগীদের খোঁজখবরসহ ভালো চিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন। অপরদিকে প্রাণিসম্পদ অফিসের কোনো কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং এ বিষয়ে খোঁজ না নেয়ার কারণে বিরুপ মন্তব্য করেছে এলাকাবাসী।