স্টাফ রিপোর্টার: সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে যথাসময়ে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সব সময় প্রস্তুত। এ ছাড়া এ নির্বাচনে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরির আইনগত দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কমিশন সবিচালয় ত্যাগের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
এর আগে সিইসি সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির খোঁজ-খবর নিতে নির্বাচন কমিশনার, কমিশন সচিব ও কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভা এবং সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সব দলের জন্য সমান সুযোগ থাকবে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের হাতে এখনো সময় আছে। বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখবো। নির্বাচনে সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণের আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। তবে এখনো নির্বাচনের নির্দিষ্ট কোনো সময় নির্ধারণ হয়নি। আমরা ভোটের আগে ৩৫-৪৫ দিনের মতো সময় রেখে তফসিল ঘোষণা করবো। আরেক প্রশ্নের জবাবে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজের অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ভালোই। গত বছর থেকে আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সীমানা পুনর্বিন্যাস, স্বচ্ছ ব্যালট বক্স ও অমোচনীয় কালিসহ নির্বাচনী সামগ্রী সংগ্রহের কাজ শেষ করেছি। সিইসি বলেন, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। এরই মধ্যে এ প্রশিক্ষণ শুরু করার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এদিকে কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, ৩০০ সংসদীয় আসনের ভোটার তালিকার মুদ্রণ, ভোটকেন্দ্রের প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের খসড়া তালিকা তৈরির কাজ ২৪ অক্টোবরের মধ্যেই সম্পন্ন করতে চায় কমিশন। তবে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রণয়নের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে নির্বাচন কমিশন।
সূত্রে আরো জানা যায়, বিদ্যমান নির্বাচনী আচরণ বিধিমালায় বলা আছে, উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারের কোনো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদাসম্পন্ন সরকারি সুবিধাভোগী ব্যক্তি প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো বিধান নেই। কারণ, বিদ্যমান আচরণ বিধিমালা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রণীত হয়েছিলো। ফলে এ আচরণবিধির সংস্কার প্রয়োজন।