মাথাভাঙ্গা অনলাইন: আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফুরকান উদ্দিন সেলিম নিহত হওয়ার ঘটনায় পরবর্তী নিদেশ না দেয়া পর্যন্ত সেখানে ১৪৪ ধারা জারি অব্যাহত রয়েছে। পুরো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থালে র্যা ব ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিজিবি স্ট্যান্ডবাই রয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সকালে পুলিশ সুপার মঈনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর-রশিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
সোমবার নিহত চেয়ারম্যানের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে ধোবাউড়া সদরে নেয়া হবে। দুপুরে ধোবাউড়া হাইস্কুলের খেলার মাঠে দুপুর আড়াই টায় প্রথম জানাজা ও বিকাল ৫টায় গ্রামেরবাড়ী কালিকাবাড়ীতে উপজেলা চেয়ারম্যান ফুরকান উদ্দিন সেলিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, রোববার ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবেশ ও খাবার বিতরণকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফুরকান উদ্দিন সেলিম গ্রুপের সঙ্গে গামারী তলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক খানের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের ১০ জন আহত হয়। পরে গুরুতর আহত উপজেলা চেয়ারম্যান ফুরকান উদ্দিন সেলিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান।