স্বেচ্ছায় তালাক নেয়ার জন্য হুমকি প্রদান

দামুড়হুদার হোগলডাঙ্গা গৃহবধ রহিমা বিয়ের ৭ বছর পরও করতে পারেনি স্বামীর সংসার

 

দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামে গৃহবধূ রহিমা খাতুন (২৫) বিয়ের ৭ বছর পার করলেও আজও স্বামীর সংসার করতে পারেনি। ২ লাখ টাকা যৌতুক দিলেও রহিমার পিতা-মাতা মেয়েকে একদিনের জন্যও স্বামীর বাড়িতে পাঠাতে পারেনি। স্বামী উজির আলী প্রবাস থেকে ফিরে স্বেচ্ছায় তালাক নেয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে। শ্বশুর মসলেম আলী ও শাশুড়ি সাহানারা খাতুন পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে চাচ্ছে না। রহিমার দরিদ্র পিতা একথা শোনার পর দূশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের হোগলডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে রহিমার সাথে ৭ বছর আগে একই ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের মসলেম আলীর ছেলে উজির আলীর (৩৫) সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর উজির আলী মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য দু লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে রহিমার পিতা অনেক কষ্টে ২ লাখ টাকা যোগাড় করে উজির আলী পিতা-মাতার হাতে দেন। উজির আলী বিয়ের ২০ দিনের মাথায় সে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায়। রহিমা চাতক পাখির মতো স্বামীর অপেক্ষা চেয়ে থাকে। ৫ বছর পর ছুটিতে বাড়ি এলেও ১ মাস বাড়িতে থেকে স্ত্রীর সাথে কোনো যোগাযোগ ও দেখাশোনা ছাড়াই ফিরে যায় সে মালয়েশিয়াতে। এরপর থেকে রহিমার শ্বশুর- শাশুড়ি যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় রহিমার সাথে। রহিমা স্বামীর সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টার করলে স্বামী তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। ৭/৮ দিন আগে গোপনে আবার ছুটিতে বাড়ি এসে স্ত্রীকে স্বেচ্ছায় তালাক নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। তালাক না নিলে খুন-জখমের হুমকি প্রদান করছে তার স্বামী। দরিদ্র পিতা তাদের হুমকি-ধামকিতে অসহায় হয়ে পড়েছেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রহিমার পিতা-মাতা। রহিমা চায় স্বামীর সাথে সংসার করতে। এদিকে আবার মালয়েশিয়ায় ফিরে যাওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে স্বামী উজির আলী।