মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ২৫ লঞ্চের পারমিট বাতিল

 

 

মাথাভাঙ্গা অনলাইন: মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে চলাচলকারী ২৫টি লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এ সংক্রান্ত নির্দেশনামূলক চিঠি সংস্থার মাওয়া বন্দর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে শনিবার।

জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম ও চালকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার অভিযোগে এ আদেশ দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা।

এদিকে, লঞ্চমালিকদের দ্বন্দ্বের কারণে ১০দিন ধরে বন্ধ রয়েছে মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-রুটে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১জেলার যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এমতাবস্থায় বিআইডব্লিউটিএ’র পারমিট বাতিলের বিষয়টি আরো জটিলতা সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

বিআইডব্লিউটিএ’র মাওয়া বন্দর কার্যালয়ের কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জানান, জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম ও চালকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবের অভিযোগে মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে চলাচলরত ২৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চের পারমিট বাতিল করা হয়েয়ে।

তিনি বলেন, “বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ২৫টি লঞ্চের পারমিট বাতিলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শনিবার এ নির্দেশনামূলক চিঠি মাওয়া কার্যালয়ে পৌঁছে।”

এ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে এখনও কোনো সমঝোতায় না পৌঁছার কারণে এমনটা হচ্ছে।”

ভুক্তভোগিরা জানান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্যোগের অভাবেই এ অচল অবস্থা বহাল আছে।

এদিকে, যাত্রীদের অভিযোগ ১০দিনেও লঞ্চমালিকদের বিরোধ অবসান না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ আর হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। তাদের বিষয়টি কোনো পক্ষই ভেবে দেখার প্রয়োজন অনুভব করছেন না। সবাই সবার দ্বন্দ্বটাকে বড় করে দেখছেন।

এতে লঞ্চমালিকদের যেমন লোকসান গুনতে হচ্ছে, যাত্রীদেরও এরুটে যাতায়াতের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রলার ও স্পিডবোট দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পারি দিতে হচ্ছে। তাছাড়া এ সুযোগে স্পিডবোডের ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। তারা দুর্ব্যবহারও বাড়িয়ে দিয়েছেন। সর্বোপরি নাজেহাল হতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণের।

গত ২২ আগস্ট কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে সিরিয়াল ভঙ্গ করে শাহ পরান নামের একটি লঞ্চ মাওয়া ঘাটে পৌঁছলে দ্বন্দ্বের শুরু হয়। লঞ্চ মালিক সমিতির কর্মকর্তারা অনিয়মের প্রতিবাদ করলে শাহ আমানতের মালিক ইয়াকুব বেপারীর লোকজন কাওড়াকান্দি থেকে মাওয়াগামী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। এই লঞ্চ মালিকের পক্ষে সরকার দলীয় এক প্রভাবশালী নেতার আর্শীবাদ থাকায় তারই ইশারায় এ অচলাবস্থা নিরসনে গড়িমসি করছে বিআইডব্লিউটিএ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা এমনটাই অভিযোগ একাধিক লঞ্চ মালিকের।

লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ মতিন বলেন, “শনিবার লঞ্চ মালিক সমিতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সমঝোতার কথা রয়েছে। সমঝোতা হলে আশা করা যায় খুব শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে।”