মাথাভাঙ্গা মনিটর: আগের দিন বেতনের দাবিতে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটারদের প্রতিবাদ শুরু হয়েছিলো। শঙ্কায় পড়েছিলো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেও। অবশেষে ব্রেন্ডন টেলর বাহিনী মাঠে নামলেও ওই ঘটনার প্রভাব পড়েছিলো পারফরমেন্সে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেয়া ২৬১ রানের লক্ষ্যে নেমে ১০ ওভার বাকি থাকতে স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় ১৫২ রানে। আর ২-১ ব্যবধানে তিন ম্যাচের সিরিজ নিশ্চিত করে সফরকারী পাকিস্তান।
পাকিস্তান: ২৬০/৬ (৫০ ওভার), জিম্বাবুয়ে: ১৫২/১০ (৪০ ওভার), ফল: পাকিস্তান জয়ী ১০৮ রানে।
লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ৮৭ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। এর মধ্যে দুটি উইকেট দখল করেন মোহাম্মদ হাফিজ। দুটি রান আউট এবং একটি করে নেন আব্দুর রেহমান ও শহীদ আফ্রিদি। হার নিশ্চিত হয়ে যায় তখনই। তবে প্রসপার উতসেয়াকে নিয়ে ৫৮ রানের সর্বোচ্চ জুটি গড়ে পাকিস্তানের উইকেট দখলের উৎসবে বাধা দেন ম্যালকম ওয়ালার। ব্যক্তিগত ২৩ রানে উতসেয়া রান আউট হলে আবারও ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইন। ৪৮ রানের সেরা ইনিংস খেলে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ওয়ালার। এছাড়া টেলর ২৬ ও হ্যামিলটন মাসাকাদজার ২৫ রানের ইনিংস উল্লেখযোগ্য। সাঈদ আজমল, রেহমান ও হাফিজ দুটি করে উইকেট দখল করেন। এর আগে টস জিতে ফিল্ডিঙের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক অধিনায়ক টেলর। উদ্বোধনী জুটিতে নাসির জামশেদকে নিয়ে আহমেদ শেহজাদ ৬৬ রান করে পাকিস্তানের শুভ সূচনার ইঙ্গিত দেন। প্রথম উইকেটের পতন ঘটে তেন্দাই চাতারার বলে। পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা টেলরের তালুবন্দি হন জামশেদ (৩৮)। গত ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করা মোহাম্মদ হাফিজ নেমে ১৩ রান করে বাঁ পায়ে চোট পান। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তখন মাঠ ছাড়লেও আট বল বাকি থাকতে আবারও মাঠে নামেন। ২০ রানে টিকে ছিলেন তিনি।
তবে শেহজাদ দ্বিতীয় ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন ৮১ বলে। এর সঙ্গে চার রান যোগ হতে হ্যামিলটন মাসাকাদজার কাছে উইকেট বিলিয়ে দেন এই ওপেনার। ৮৫ বলে ৫৪ রানের দ্বিতীয় সেরা ইনিংস খেলেন শেহজাদ। এরপর ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন সফরকারী অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। সিরিজের দ্বিতীয় ফিফটির পাশাপাশি ৬৭ রানের সেরা ইনিংস খেলে তিনি আউট হন দুবল বাকি থাকতে। পাকিস্তানের ইনিংসে আরও অবদান রেখেছে উমর আমিনের ৩৩ ও সরফরাজ আহমেদের ২২ রান। জিম্বাবুয়ের পক্ষে চাতারা সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। একটি করে পেয়েছেন শিঙ্গি মাসাকাদজা, প্রসপার উতসেয়া ও হ্যামিলটন মাসাকাদজা। তিন ম্যাচে ২৩২ রান করে সিরিজ সেরা হয়েছেন হাফিজ। আর ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহর হাতে।