স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে পুলিশ লাইনের সামনে কমিউনিটি পুলিশ পরিচয়ে চার যুবকের কর্মকাণ্ড নিয়ে থ্রি হুইলার ও ইজিবাইক চালক ও এর যাত্রীরা প্রশ্ন তুলেছেন। বাসমালিক সমিতির স্বার্থে কমিউনিটি পুলিশের পরিচয় ব্যবহার করার এ ঘটনাকে যথাযথ নয় বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও মন্তব্য করা হয়েছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের সামনে চার যুবক কমিউনিটি পুলিশের হলুদ জ্যাকেট পরে থ্রি হুইলার, ইজিবাইক ও নসিমন করিমনকে যাত্রী নিয়ে চুয়াডাঙ্গা শহরে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে এবং পুলিশ লাইনের সামনে যাত্রীদেরকে জোর করেই নামিয়ে দিচ্ছে। কথিত ওই কমিউনিটি পুলিশের কথা না শুনলে এসব ছোট ছোট যানবাহনের চালক ও তার যাত্রীদেরকে মারপিটসহ নানানভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। পুলিশের সামনেই গত তিন দিন ধরে এ তৎপরতা চলার ঘটনায় অনেকেই হতবাক হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা থ্রি হুইলার অটো টেম্পু মালিক সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দিন জানান, তারা সরকার অনুমোদিত বৈধ যানবাহন হিসেবে সব রুটে চলতে চাই। থ্রি হুইলার মালিক ও চালকদের স্বার্থে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে কমিউনিটি পুলিশের দায়িত্বে থাকাদের একজন হাটকালুগঞ্জের লোকমান হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতা আবুল কালাম তাদেরকে এখানে ডিউটিতে পাঠিয়েছেন। প্রতিদিন ২শ টাকা করে হাজিরা সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত তারা ডিউটি করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মাহবুব হোসেন জানান, পুলিশের স্বল্পতার কারণে ট্রাফিক বিভাগের সাথে আলাপ করেই কমিউনিটি পুলিশ মোতায়েন করেছে।
তবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) এসএম রেজাউল করিম জানান, ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক ও সার্জেন্ট ছাড়া কারো যানবাহন ঠেকানো বা কাগজপত্র চেক করার বৈধতা নেই। আর পুলিশিং কমিটির নামে এ তৎপরতার বিষয়টি জানা নেই।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।