মো. শাহাবুদ্দিন: চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন উপজেলার চাষিদের কাছে বিলেতি জাতের ওল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এক সময়ে বিলেতি ওল বসতবাড়ির আঙিনায় পরিত্যক্ত জমিতে বাড়ির লোকজন লাগাতো। দেশে সবজির চাহিদা মেটাতে প্রান্তিক চাষিরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তারা সফলও হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা কৃষিসম্প্রসারণ অফিস জানায়, এ বছর ৫০ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের বিলিতি ওলচাষ হয়েছে। এর মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলায় ২০ হেক্টর জীবননগর উপজেলায় পাঁচ হেক্টর, সদর উপজেলায় ১০ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১৫ হেক্টর চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে চাষিরা জমি থেকে ওল তুলে বিক্রি শুরু করেছে। বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে ওল বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে দুশ থেকে আড়াইশ মণ ওল হয়ে থাকে। খরচ বাদ দিয়ে বিঘাপ্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকা লাভ হয়ে থাকে। জয়রামপুর গ্রামের ওলচাষি মুনতাজ আলী জানান, তিনি এ বছর উন্নত জাতের এক বিঘা জমিতে ওলচাষ করেছে। সাড়ে পাঁচ মাসের ফসলে প্রকৃতি সদয় থাকলে ওই জমি থেকে দুশ থেকে আড়াইশ মণ ওল উৎপাদন হবে। এতে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৪০/৫০ হাজার টাকা লাভ হবে। আরামডাঙ্গা গ্রামের চাষি এরশাদ অলী জানান, নিজের ঘরে থাকা বীজ দিয়ে দশ কাঠা জমিতে ওলচাষ করেছি। তিনি ওই জমি থেকে একশ মণ ওল পাবেন বলে আশা করছেন। বাজার দর ভালো থাকলে ওল বিক্রি করে ভালো লাভ করবেন। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার মাটি ওল চাষের জন্য উপযোগী। এ চাষ করে অল্প জমিতে বা পরিত্যক্ত জমিতে ও বসতবাড়ির আঙিনায় লাভবান হওয়া যায়। ওল সুস্বাদু সবজি হওয়ায় দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই ওলচাষ করতে চাষিদের সবধরনের পরামর্শ ও উৎসাহিত করা হচ্ছে।চুয়াডাঙ্গা জেলায় বিলেতি ওলের চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মো. শাহাবুদ্দিন: চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন উপজেলার চাষিদের কাছে বিলেতি জাতের ওল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এক সময়ে বিলেতি ওল বসতবাড়ির আঙিনায় পরিত্যক্ত জমিতে বাড়ির লোকজন লাগাতো। দেশে সবজির চাহিদা মেটাতে প্রান্তিক চাষিরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তারা সফলও হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা কৃষিসম্প্রসারণ অফিস জানায়, এ বছর ৫০ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের বিলিতি ওলচাষ হয়েছে। এর মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলায় ২০ হেক্টর জীবননগর উপজেলায় পাঁচ হেক্টর, সদর উপজেলায় ১০ হেক্টর, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১৫ হেক্টর চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে চাষিরা জমি থেকে ওল তুলে বিক্রি শুরু করেছে। বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে ওল বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে দুশ থেকে আড়াইশ মণ ওল হয়ে থাকে। খরচ বাদ দিয়ে বিঘাপ্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকা লাভ হয়ে থাকে। জয়রামপুর গ্রামের ওলচাষি মুনতাজ আলী জানান, তিনি এ বছর উন্নত জাতের এক বিঘা জমিতে ওলচাষ করেছে। সাড়ে পাঁচ মাসের ফসলে প্রকৃতি সদয় থাকলে ওই জমি থেকে দুশ থেকে আড়াইশ মণ ওল উৎপাদন হবে। এতে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় ৪০/৫০ হাজার টাকা লাভ হবে। আরামডাঙ্গা গ্রামের চাষি এরশাদ অলী জানান, নিজের ঘরে থাকা বীজ দিয়ে দশ কাঠা জমিতে ওলচাষ করেছি। তিনি ওই জমি থেকে একশ মণ ওল পাবেন বলে আশা করছেন। বাজার দর ভালো থাকলে ওল বিক্রি করে ভালো লাভ করবেন। দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার মাটি ওল চাষের জন্য উপযোগী। এ চাষ করে অল্প জমিতে বা পরিত্যক্ত জমিতে ও বসতবাড়ির আঙিনায় লাভবান হওয়া যায়। ওল সুস্বাদু সবজি হওয়ায় দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই ওলচাষ করতে চাষিদের সবধরনের পরামর্শ ও উৎসাহিত করা হচ্ছে।