ওরা কারা, পুলিশ নাকি অন্য কেউ?

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের বড়শলুয়া গ্রামে পুলিশ পরিচয়ে কে বা কারা গাঁজাসহ এক মহিলাকে আটক করেছে। দীর্ঘসময় দরকাষাকষির একপর্যায়ে মোটা অঙ্কের অর্থবাণিজ্য করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে কোন জায়গার পুলিশ তা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া গ্রামের তোফাজ্জেলের স্ত্রী আমেনা বেগম (৪০) বলেন, গতপরশু শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলেযোগে ৪ জন পুলিশ পরিচয়ে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। তারা বলে, তোর স্বামী ফেনসিডিল আনতে বর্ডারে গেছে। একপর্যায়ে তারা নিজেদের আনা ২শ গ্রাম গাঁজাসহ আমেনা বেগমকে আটক করে গ্রামের পার্শবর্তী মাঠে নিয়ে যায়। তাকে গাঁজাসহ চালান দেয়া এবং তার ছেলে ও স্বামীকে ফেনসিডিলসহ চালান দেয়ার হুমকি দেয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম্যমাতবরা করতে থাকেন দরকষাকষি। একপর্যায়ে বেলা ২টার দিকে ২১ হাজার টাকার বিনিময়ে আমেনাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় তারা। আমেনা আরও জানান, যখন তাকে আটকে রাখে, তখন পুলিশ পরিচয়দানকারীরা গ্রামের রিয়াজের ছেলে চুয়াডাঙ্গায় বসবাসরত ছামাদের সাথে আমাকে মোবাইলফোনে আলাপ করিয়ে দেয়। ছামাদের সাথে আমার তর্কবিতর্ক হলে সে মোবাইলফোনটি কেটে দেয়। শাদা পোশাকে থাকায় প্রথমে গ্রামের লোকজন ধারণা করে ডিবি পুলিশ। পরে ডিবি পুলিশের এএসআই আশরাফের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই দিন ডিবি পুলিশের কোনো সদস্য বড়শলুয়া গ্রামে যাননি। স্থানীয় ইউপি সদস্য কোন জায়গার পুলিশ সে বিষয়টিও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে সচেতন মহলের প্রশ্ন বড়শলুয়া গ্রামে গিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটালো কোথাকার পুলিশ। তবে যারা ওখানে গিয়েছিলো তাদের কাছে পুলিশের হ্যান্ডকাপ ও ওয়াকি টকি সেট ছিলো। বিষয়টি পুলিশ সুপারের খতিয়ে দেখা দরকার বলে সচেতন মহলের দাবি।