আলমডাঙ্গা কালিদাসপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লাবু প্রেমিকাসহ পাকড়াও

স্টাফ রিপোর্টার: হজে যাওয়ার আগেই দোতলা বাড়ি লিখে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশী ভাতিজার বউয়ের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় গতকাল গ্রামবাসী লাবলু ও তার প্রেমিকাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গার বকসিপুর গ্রামে। গতরাতে মোটা অঙ্কের অর্থে রফা করে থানা পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এলাকা ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লাবলু ওরফে লাবুর নজর পড়ে প্রতিবেশী ভাতিজার বউ দু সন্তানের জননী সালমা খাতুনের ওপর। তিনি তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়তে চান তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন আগে লাবুল জোরপূর্বক সালমা খাতুনকে ধর্ষণ করতে গেলে একপর্যায়ে সালমা তার কবল থেকে মুক্ত হয়ে ছুটে পালান। ওই ঘটনায় সালমা খাতুন বিদ্যুতে শক নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মোবাইলফোনে এসআই টিপু সুলতান এমন তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন, সেসময় সালমার স্বামী গালমন্দ করে লাবলুকে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, সালমা খাতুন তার পিতা বকসিপুর গ্রামের সানোয়ার হোসেনের বাড়িতে আসার পর থেকে প্রায় প্রত্যেক দিন লাবলু সেখানে যান। ঘরে ঢুকে একান্তে দুজন দীর্ঘ সময় কাটান। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে প্রতিবেশীরা কৌতূহলী হয়ে ওঠে। তাদের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। গতকাল সালমার বাপের বাড়িতে গিয়ে লাবু বদ্ধঘরে সালমার সাথে একান্তে সময় কাটাচ্ছিলো। এ সময় ওত পেতে থাকা প্রতিবেশীরা তাদেরকে এক ঘরে আটকে রাখে। প্রায় কয়েকশ’ নারী-পুরুষ ঘটনাস্থলে মুহূর্তে জড়ো হয়। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হলে এসআই টিপু সুলতান গিয়ে লাবু ও সালমা খাতুনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় পুলিশ সালমার পিতা সানোয়ার হোসেনকেও থানায় নিয়ে আসে। পরে রাতে তাদেরকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। মোটা অঙ্কের টাকায় ম্যানেজ হয়ে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এসআই টিপু সুলতান জানিয়েছেন, বাদী ও বিবাদী মিলে গেলে আমরা কী করবো?